নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ ::ঘোজাডাঙ্গা :: মঙ্গলবার ১৮,ফেব্রুয়ারি :: এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার ভারত বাংলাদেশ ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত যেখানে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ট্রাক দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এই সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে যায়।
২৫ বছর হয়ে গেছে এখনো পর্যন্ত এই সীমান্তে কোন সরকারি পার্কিং নেই ৮৪ টা বেসরকারি পার্কিং রয়েছে।
কেউ মালিকের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে করেছেন আবার কেউ নিজের জমিতে পার্কিং লট করে নিজেরাই ব্যবসা করেন কিন্তু রাজ্যের অন্যান্য সীমান্ত বর্ডার বিশেষ করে মালদা মহাদিপুর সীমান্তে যেখানে ২৪ ঘন্টা পার্কিং চার্জ ৮০০ টাকা নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে ঘণ্টা পতি ২০০ টাকা অতিরিক্ত চার্জ নেওয়া হয়। সেখানে ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত অর্ধেক অর্থাৎ ৪০০ টাকা।
পাশাপাশি ১৬আগস্ট ২০২২ সালে রাজ্যের সুবিধা পোর্টালে ঘোজাডাঙ্গা পার্কিং ওনার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন তাদের পার্কিং নাম নথিভুক্ত করেছিল। সেই সময় বলা হয়েছিল পার্কিং চার্জ বাবদ যে টাকা জমা নেওয়া হচ্ছে সেগুলো আবার নির্ধারিত পার্কিং মালিকের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে।
প্রায় তিন বছর অতিক্রম করল করে গেছে, আজও প্রায় একচল্লিশ লক্ষ টাকা পার্কিং মালিকরা পাননি। সীমান্ত ২৯৫ বিঘার উপর মোট ৮৪ টা বেসরকারি পার্কিং রয়েছে এর সঙ্গে জড়িত মালিক কর্মচারী পাশাপাশি পরোক্ষভাবে ৪ হাজার মানুষ এই জীবিকার মধ্যে জড়িত দীর্ঘ তিন বছর ধরে যেমন একদিকে তাদের সুবিধা পোর্টালের জমানো অর্থ পাচ্ছেন না।
এর জন্য ইতিমধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিস্তারিত জানিয়েছেন অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর দপ্তরের তারা বাই পোস্টে পুরো বিষয়টা জানিয়েছেন তার দপ্তরে এছাড়া জেলাশাসক মহকুমা শাসক সহ প্রশাসনিক কর্তাদের একাধিকবার জানিয়ে কোন ফল হয়নি।
তাই বাধ্য ৮৪ জন পার্কিং মালিক কর্মচারী সহ দুই শতাধিক ব্যবসায়ী ভারত বাংলাদেশ ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তের চেকপোস্টের কাছে তারা চেয়ার মাইক বেঁধে ফেস্টুন লাগিয়ে অবরোধ বিক্ষোভ শুরু করেছেন।