নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নদীয়া :: সোমবার ১০,মার্চ :: ঋণের টাকা শোধ না করতে পারার জন্য বাড়িতে ঢুকে আগ্নেয় অস্ত্র দেখিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি। একই সাথে চড়া সুদে টাকা সময় মত দিতে না পারায় জমি লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।
আর এমন ঘটনায় আত্মহত্যা সিপিএমের চাপড়া বৃত্তিহুদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের স্বামী। বর্তমানে সুদ ও আসল বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ গুন। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে চাপড়া থানার গোখুরাপোতা গ্রামে।
ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গ্রামের কয়েকজন মানুষ চরা সুদে মানুষকে টাকা ধার দেয়।
সেই টাকা কয়েক মাসের মধ্যে বেশ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সুদ এবং আসল টাকা সময় মত পরিশোধ করতে না পারলে তাদের বাড়িতে বিভিন্ন সময় হামলা এমনকি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা।
রবিবার রাতে মকবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হুমকি দেয় সুদের টাকা পরিশোধের জন্য। গত কয়েক মাস আগে ওই প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর সঙ্গে এক বিঘা জমি জোরপূর্বক রেজিস্ট্রি করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তারপরও ক্রমশ সুদের টাকার চাপ দিতে থাকে।
সুদখোরের এই চাপ সহ্য করতে না পেরে সোমবার ভোর রাতে ঘরের ভিতরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে এবং একটি সুইসাইড নোট লিখে যায় সুদ কারবারিদের নামে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় রীতিমতো উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছেছে চাপড়া থানার পুলিশ।চাপড়া থানা পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাতে গেলে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এরপর পুলিশি আশ্বাসে বিক্ষোভ ওঠে এবং মৃতদেহ শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।