সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: সুন্দরবন :: উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ সুন্দরবনের কালিতলা ঝিঙেখালি ৱায় মঙ্গল নদীতে মৎস্যজী হরিদাস মৃধা ও তার বাবা বসুদেব মৃধা তারা দিনরাত নদীতে জাল ধরে তাদের রুজি রোজগার করেন। এদিন রাত্রে নদীতে জাল পাতলে গভীর রাত্রে জালের মধ্যে কিছু একটা জোরে জোরে আফালি করছিল ।
সেই সংকেত বুঝতে পেরে তখন তারা জাল তুলতে দেখতে পায় বিশালাকার এই ভেটকি মাছ। সেই মাছ নদী থেকে পাড়ে তোলা মাত্রই দেখার জন্য কালিতলা বাজার সংলগ্ন নদীর পাড়ে মানুষের ঢল নেমে আসে। মাছটি লম্বা চার ফুট ও চওড়া দেড় ফুট ।
বিশাল আকারএই মাছটি দেখে মৎস্যজীবীদের অনুমান দেশী ভেটকি মাছ দিক ভুল করে বড় নদীতে খাবারের সন্ধানে ঢুকে পড়েছে ।
গত এক সপ্তাহে দুটি ভেটকি মাছ মৎস্যজীবীদের জালে উঠেছে সাথে সাথে ইকো চারচাকা গাডি ভাডা নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্য রওনা দিল সেই মৎস্যজীবী। সহযোগিতায় ছিল তনময় মৃধা নামে স্থানীয় এক মৎস্য ব্যবসায়ী।বাজারে নিয়ে গিয়ে ওজন করা হলে দেখা যায় ১৯,কেজি ৬৫০গ্রাম ওয়েট হয়েছে ।
যার দাম অ্যাকশনে দাঁড়িয়েছে ৯৮০,টাকা প্রতি কেজি । এই মাছটির টোটাল দাম ২০,০০০ টাকা। সময় যত যাচ্ছে মাছের দাম তত বাড়তে শুরু করেছে ।
করনা মহামারী থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত সে রকম কোনো রুজি-রোজগার ভালো না হওয়ায় আজ এই মাছটি পেয়ে মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারলেন বলে জানালেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে যে মাছ ধরতে ধরতে তার বয়সটা ৫০ থেকে ৫৩ বছরে এসে দাঁড়িয়েছে |
এখনো পর্যন্ত তারা সরকারি কোন পরিচয় পত্র বা কোনো রকম সুযোগ-সুবিধা পায়নি।এখনো পর্যন্ত তীর্থের কাকের মতো আশায় বুক বেঁধে আছেন এমনটাই জানালেন বাসুদেব মৃধা।