সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: সুন্দরবন :: সুন্দরবনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় জঙ্গলে চার বছর পর আবার শুরু হলো বাঘ গননার কাজ । সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত জঙ্গলের পরে এ বার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় অন্তর্গত জঙ্গল এলাকায় শুরু হলো ক্যামেরা বসানোর কাজ ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সুন্দরবনের দু’টি অঞ্চল মিলিয়ে মোট ৯৭টি বাঘ থাকার সম্ভাবনা আশা করেছিল বনবিভাগ । এ বছর আবার শুরু হলো বাঘ গণনার কাজ। সম্প্রতি সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধীন বনাঞ্চলে শুরু হয়েছিল ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানোর কাজ । এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বনবিভাগের আওতাধীন সুন্দরবনের জঙ্গলে শুরু হয়েছে ক্যামেরা বসানোর কাজ । রায়দিঘি রেঞ্জের চিতুরি বিট অফিসের অন্তর্ভুক্ত হেড়োভাঙা-৮ নম্বর জঙ্গল থেকেই ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু করেন বনকর্মীরা ।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে , মোট ১৬১ জোড়া ক্যামেরা বসানো হবে জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় । আগামী চার দিন ধরে মাতলা, রায়দিঘি, রামগঙ্গা রেঞ্জে চলবে এই কাজ । আপাতত ১০০ জন বনকর্মী ৮ টি দলে ভাগ হয়ে এই কাজ করছেন ।
ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে ছবি ওঠার পাশাপাশি জানা যাবে বাঘের অবস্থানও । প্রক্রিয়া চলবে টানা ৩৫ দিন ধরে । ৩৫ দিন পর জঙ্গল থেকে ক্যামেরাগুলি তুলে আনা হবে।
প্রতিটি ছবি মিলিয়ে শরীরের ডোরাকাটা দাগের ধরন দেখে প্রত্যেক বাঘকে আলাদা ভাবে শনাক্ত করা হবে । জানা যাবে বাঘের প্রকৃত সংখ্যা । নিরপত্তার কারণে ক্যামেরা বসানোর আগে জঙ্গলের গভীরে নির্বাচিত স্থানগুলিতে জাল লাগানো হলেও পরে তা খুলে দেওয়া হয় ।ক্যামেরা বসানোর সময় বিট অফিসে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) মিলন মন্ডল, অতিরিক্ত বিভাগীয় বনাধিকারিক (এডিএফও) অনুরাগ চৌধুরী ।
মিলন মন্ডল জানান, প্রাথমিক ভাবে রায়দিঘি রেঞ্জের কুলতলি বিটের হেড়োভাঙা জঙ্গলে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আগামী ৪ দিনের মধ্যে বাকি জায়গাগুলিতেও বসানো হয়ে যাবে । ২০১৯ সালের বাঘ সুমারিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগে জঙ্গলে মোট ২৭টি বাঘের সন্ধান মিলেছিল । এর মধ্যে বাঘিনীর সংখ্যা ছিল ২০। এ বারের সুমারির পর সেই সংখ্যা হয়তো বাড়তে পারে।