নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: গঙ্গাসাগর :: হিন্দু শাস্ত্রে সূর্যগ্রহণকে অশুভ সংকেত বলে ধরে নেয়া হয়। এবার সূর্যগ্রহণের কয়েক ঘণ্টা আগে বন্ধ করে দেওয়া হলো দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দির। আজ সকাল দশটার সময় গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির মন্দিরের মূল দরজা বন্ধ করে রাখা হলো। কার্যত হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছে পর্যটকেরা থেকে শুরু করে পণ্যার্থীরা।
কপিলমুনি মন্দিরের সেবায়েত বলেন, সমুদ্র মন্থনের পর অমৃত নিয়ে দেবতা ও অসুরের মধ্যে যুদ্ধ চলে। সেই সময় রাহু আর কেতু নামে দুই অসুর অমৃত পান করে ফেলে। সেই সময় ভগবান শ্রীবিষ্ণু সুদর্শন চক্র দিয়ে রাহু ও কেতুর ধর ও মুন্ডু আলাদা করে ফেলে । সূর্যগ্রহণ রাহু ও কেতুর দ্বারাই হয়। যদিও এই পৌরাণিক কথার এখন অতীত। কিন্তু বিশ্বাস ও ভক্তি নিয়ে বেঁচে আছি আমরা।
কয়েকশো বছর পর এমনই মহাজাগতিক দৃশ্য দেখতে চলেছে ভারতবাসী। সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের সময় প্রতিটি ধর্মীয় মন্দির তার মুখ্য দরজা বন্ধ করে রাখা হয়। সেই মতনই গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরে মুখ্য দরজা বন্ধ রাখা হলো। সূর্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর আবারও পুজো অর্চনার পর পুণ্যার্থীদের জন্য আবারো খোলা হবে কপিলমুনি মন্দির। কপিলমুনি মন্দির বন্ধ থাকার কারণে সমস্যায় পড়েছে ব্যবসায়ীরা। কার্যতো পুণ্যার্থী শূন্য গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দির চত্বর হলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ব্যবসায়ীরা।