সেঞ্চুরির পথে সুন্দরবনের দক্ষিণ রায়, ৯৬ নট আউট

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: সুন্দরবন :: সুন্দরবন নিয়ে কথা বলতে গেলেই সর্বপ্রথমে যেটা বলতেই হয় সেটা হল রয়েল বেঙ্গল টাইগার। দ্বিতীয় বৃহত্তম বদাবন হল সুন্দরবন। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য দেখতে প্রতিবছরই সুন্দরবনের ভিড় জমায় কয়েক হাজার পর্যটকেরা। পর্যটকদের সুন্দরবনে আসার অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হল রয়েল বেঙ্গল টাইগার।

সম্প্রতি ব্যাঘ্র গণনায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস। বিশ্বের বনভূমির মধ‍্যে সুন্দরবনে একমাত্র বিচরণ করে রয়‍্যাল বেঙ্গল টাইগার। সম্প্রতি বন দফতরের পক্ষ থেকে করা বাঘ্রসুমারী অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৯৬। এই বাঘের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

আর সেজন‍্য বন দফতরের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষজনের জ্ঞাতার্থে প্রচার করা হচ্ছে ‘৯৬ নট আউট’। বিশ্ব ব্যাঘ্র দিবস পালিত হয়েছে সুন্দরবনে। সুন্দরবনের প্রাণবৈচিত্র্যের অন্যতম আকর্ষণ দক্ষিণরায়। দক্ষিণরায়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াতে কিছুটা হলেও আনন্দিত বনদপ্তর। সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াতে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করার জন্য সতর্কতা নিচ্ছে বনদপ্তর।

সুন্দরবনের ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকার চারিপাশে আরো ভালোভাবে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করছে বনদপ্তর। গত প্রাকৃতিক বিপর্যয় যে সমস্ত জায়গায় জাল ছিঁড়ে গিয়েছিল সেই সমস্ত জায়গায় বনদপ্তরের পক্ষ থেকে নতুন করে জাল লাগানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

বন দফতরের মূল উদ্দেশ্যে সুন্দরবনের জঙ্গল লাগোয়া এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সুন্দরবনের বাঘ, জঙ্গল রক্ষা করা। ম‍্যানগ্রোভ রক্ষার পাশাপাশি বাঘ নিয়ে সাধারণ মানুষজনের সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সুন্দরবন লাগোয়া মানুষজনের নিজেদের স্বার্থেই বাঘ এবং তার বাসভূমি রক্ষা করা। আর সেই লক্ষেই পালন করা হচ্ছে এই বাঘ দিবস।

বাঘ দিবস পালনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে খুশি স্থানীয়রাও। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনদপ্তরের আধিকারিক (ডিফও) মিলন মন্ডল জানান, বাঘ গণনার ক্ষেত্রে জঙ্গলে বিভিন্ন জায়গায় আমরা ক্যামেরার ট্রাপিং করেছি সেই ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

আগের থেকে বেশ সংখ্যার বাঘের আনাগোনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। ক্যামেরায় ধরা পড়েছে নতুন শাবকের ছবি। আমরা মনে করছি যে সুন্দরবনের আগের থেকে বেশি বাঘ রয়েছে সুন্দরবনে। সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াতে খুশি আমরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *