নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বাঁকুড়া :: মঙ্গলবার ৮,অক্টোবর :: বাঁকুড়া জেলার বিগ বাজেটের পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম পুয়াবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। পুয়াবাগান সার্বজনীনের ৩২ তম বর্ষে নিবেদন সেলুলার জেল।
উনিশ শতকের শেষে পরাধীন ভারতে তুঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রাম। ফাঁসির পাশাপাশি সশস্ত্র পথের বিপ্লবীদের বেশিরভাগেরই শাস্তি হয়েছিল দ্বীপান্তর। সেই সময় ব্রিটিশ সরকার বুঝল, এ বার আন্দামানে দরকার নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা সমেত একটি কারাগার।
১৯০৬ সালে তৈরী হলো সেলুলার জেল। তৎকালীন বর্মা থেকে ঘন লাল রঙের ইট এনে প্রথমে তৈরি হয়েছিল এই কারাগার। ব্রিটিশ শাসনের শেষ অর্ধে সেলুলার জেলের বন্দিদের বড় অংশ ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামী। অসংখ্য বন্দি সেখানে অকথ্য অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অধিকাংশ বন্দি হয় মারা গিয়েছেন, নয়তো আত্মঘাতী হয়েছেন।
এছাড়াও ১৯৪৩ সালের ৩০শে ডিসেম্বর পোর্ট ব্লেয়ারে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ভারতের মাটিতে প্রথম বারের মতো তেরঙ্গা উত্তোলন করেছিলেন। সেই সব ছবি থিম শিল্পী চন্দন রায়ের ভাবনায় নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন পুজো মন্ডপে ।
পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর বিপ্লবীদের শ্রদ্ধা জানাতে এই ভাবনা। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। দর্শনার্থীরা এই পুজো প্যান্ডেলে এলে তাদের মন জয় করবে বলে আশা করছেন।