সোমবার পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের পলসোনা গ্রামে জ্যান্ত কেউটেকে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হল

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: মঙ্গলবার ২৩,জুলাই :: কথায় বলে, ‘বিশ্বাসে মিলায় কৃষ্ণ, তর্কে বহুদূর।’ ঠিক যেমনটা বহুকাল ধরে ঘটে চলেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে। এক হাতে লেজটা ধরা। অন্য এক হাতে ছোট্ট একটি লাঠি। পুরোহিতের সেই লাঠিতে জড়িয়ে রয়েছে বিশাল একটি কেউটে। মাঝেমধ্যে ফণা তুলছে।

মন্দিরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আর এক পুরোহিত তখন মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতে সেই কেউটের মাথায় দুধ, গঙ্গাজল ঢালছেন। নিজের হাতে সিঁদুর মাখিয়ে দিচ্ছেন ফণাধারী কেউটের মাথায়। সোমবার পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের পলসোনা গ্রামে এ ভাবেই জ্যান্ত কেউটেকে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হল। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, এটাই তাদের রীতি। অনন্তকাল ধরে চলেছে এই পুজো।

গ্রামবাসীদের কাছে এই বিশেষ ধরনের কেউটে ঝঙ্কেশ্বরী বা ঝাঁকলাই। তার পুজো হয় আষাঢ় মাসে। ঝাঁকলাই আদপে জাত কেউটে । তীব্র বিষ এর। সেই বিষধর সাপের সঙ্গে যুগের পর যুগ ধরে সহাবস্থান করে আসছেন গ্রামবাসীরা। তাদের বিশ্বাস এই ঝাঁকলাই তাদের জীবন রক্ষা করো চলেছে যুগ যুগ ধরে।

এই ঝাঁকলাই তাদের কাছে মা মনসা। গ্রামবাসীদের দাবি, ঝাঁকলাই বিষধর। কিন্তু তাঁদের কাউকে কামড়ায় না। আর কোনও কারণে ছোবল মারলে মন্দিরের মাটি লেপে দিলেই নাকি বিষমুক্ত হয়ে যান রোগী। এমন বিশ্বাস নিয়ে এখনও বেঁচে আছেন বহু মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 2 =