নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নদিয়া :: সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে নদীয়ার তাহেরপুর থানা এলাকার বাসিন্দা একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সাথী সরকারকে সীমান্তের ওপার বাংলাদেশ নিয়ে চলে গিয়েছিল এক বাংলাদেশী যুবক। মেয়েকে না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় তাহেরপুর থানায়।
নিখোঁজ হওয়ার মাস দুয়েক পরে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী বাড়িতে তার মাকে লুকিয়ে ফোন করে জানায় তাকে যেন বাড়িতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে। এরপর থেকেই ছাত্রীর পরিবার থানা পুলিশ নেতা মন্ত্রী প্রশাসন এমনকি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দ্বারস্থ হয়। প্রায় দশ মাস বাদে দুই দেশের প্রশাসনিক কর্তাদের উপস্থিতিতে রবিবার গেদে সীমান্ত দিয়ে ওই নাবালিকাকে তার নিজের বাড়িতে পাঠানো হয়।
গত ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে বয়স যখন ১৭ তখন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল । বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরের এক বাংলাদেশি যুবক তাকে বিয়ে করেছিল বলে বাড়িতে ফোনে জানায় সাথী। কিন্তু বাড়ি ফিরবে বলে প্রায়ই মায়ের কাছে কান্নাকাটি করত। এরপরই মেয়েকে ফেরাতে উদ্যোগী হয় পরিবার।
ভালবাসার টোপ দিয়েই বাংলাদেশের যুবক সাথীকে ফুসলিয়ে ওপারে নিয়ে চলে গিয়েছিল কোনরকম বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে দালাল মারফত বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সাথী সরকার কে। যদিও পরে ওই যুবকই একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করে। প্রশাসনিক স্তরে খোঁজখবর হতেই মেয়েটিকে বাংলাদেশ পুলিশ উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয় রেখেছিল।
অবশেষে রবিবার নদীয়ার গেদে সীমান্তে দুই দেশের আধিকারিকদের প্রচেষ্টায় ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরল । দীর্ঘদিন বাদে মেয়ে ঘরে ফেরায় খুশি পরিবার।