সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ ;: বারুইপুর :: খুলেছে স্কুল দেখা মিলছে না ছাত্র-ছাত্রীদের। ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলমুখী করতে গ্রামে গ্রামে গিয়ে প্রচার করছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।করোনা আবহে লকডাউন, তার পর একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে অর্থনৈতিক দুরবস্থা চরমে। বাড়ছে স্কুলছুটের সংখ্যা। একের পর এক নাবালিকা বই ছেড়ে সংসারী হচ্ছে।
এই প্রেক্ষিতে অভিনব উদ্যোগ নিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা বারুইপুরের বেগমপুর জ্ঞানদা প্রসাদ ইনস্টিটিউশন । পড়ুয়াদের স্কুলে ফেরাতে দুয়ারে দুয়ারে ছুটছেন শিক্ষক-শিক্ষিকার। শনিবার সকাল থেকেই বারুইপুরের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়িতে পৌঁছায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা এবং কথা বলেন অভিভাবকদের সাথে। ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে স্কুল গুলি।
স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির হার খুবই কম। ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলমুখী করাতে উদ্যোগ নিয়েছে বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি,কুলতলি ব্লকের জামতলা ভগবান চন্দ্র হাই স্কুলের পক্ষ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়িতে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন পৌঁছে দেয় শিক্ষক-শিক্ষিকারা ও। কিন্তু বহু নাবালিকা ছাত্রীর বিবাহ হয়ে গিয়েছে।
করোনার পরে সংসারের বেহাল পরিস্থিতি সংসারের হাল ধরতে বহু ছাত্র-ছাত্রী পাড়ি দিয়েছে ভিন্ন রাজ্যে কাজের জন্য। গত নভেম্বর মাসের ১৬ তারিখ থেকে রাজ্য স্কুল খুলেছে। এখন নবম, দশম একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির অফলাইন ক্লাস হচ্ছে। কিন্তু এলাকায় অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীই স্কুলে উপস্থিত হচ্ছে না। যা চিন্তা বাড়িয়েছে শিক্ষকদের। ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলমুখী করতে তৎপর হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।