নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: চুঁচুড়া :: শুক্রবার ১,আগস্ট :: স্কুলে সাংসদ তহবিলের টাকায় স্মার্ট ক্লাস! তৃনমূল বিধায়কের আচরণে রুষ্ট তৃণমূল সাংসদ। বললেন,দলের যাকে জানাবার জানাবো, শেষ দেখে ছাড়বো।
চুঁচুড়া বাণীমন্দির স্কুলে হঠাৎই পরিদর্শনে যান হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেখানে গিয়ে প্রধান শিক্ষিকা ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ শুনে তম্ভিত হয়ে যান।
তার সাংসদ তহবিল থেকে স্কুলে মেয়েদের জন্য স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরি হচ্ছে।কেন তৈরি হচ্ছে কে বরাত পেয়েছে তা নিয়ে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের রোষের মুখে পড়েন প্রধান শিক্ষিকা।
কয়েকদিন আগে স্কুলে গিয়ে বিধায়ক খারাপ ভাষায় কথা বলেন বলেন অভিযোগ। প্রধান শিক্ষিকা সাংসদকে আরো জানান কার অনুমতি নিয়ে স্মার্ট ক্লাসরুম হচ্ছে তা জানতে চান বিধায়ক।কারা বরাত পেয়েছে কেন বিধায়ক কে জানানো হয়নি সেটা নিয়ে দুর্ব্যবহার করেন।
প্রধান শিক্ষিকা বলেন,একই দলের বিধায়ক ও সাংসদ সেখানে স্কুলের মেয়েদের সুবিধার জন্য মাঠ ক্লাসরুম যদি হয় তাতে আপত্তির কি আছে বুঝিনি।
রচনা এই কথা শুনে বলেন,আমি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। আশ্চর্যজনক ঘটনা। স্মার্ট ক্লাসরুম প্রয়োজন ছিল বাণীমন্দির স্কুল চেয়েছিল।আমি দিয়েছি।আরো দেবো।
তৃনমূল বিধায়ক শিক্ষিকাদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন শিক্ষিকাদের একটা সম্মান আছে। তা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয় আগামী দিনেও কাজ করব স্কুলের উন্নতি করব স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করব।
কার কত দম আছে দেখব।এই ঘটনা যাকে জানাবার তাকে জানাবো। দল জানে ওনার গতিবিধি।এর আগেও নানা ঘটনা ঘটেছে। যাকে জানাবার তাকে জানাবো আগামী দিনে যাতে না হয় সেটা দেখব।
উনি বোধহয় চাইছেন না স্মার্ট ক্লাস রুম হোক। আমি এর শেষ দেখে ছাড়বো। আমার সাতজন বিধায়কের একজনই হয়তো দলের বদনাম করছেন ৬ জন দলের কথা ভাবেন।ওনার বয়স হয়েছে মাথা কাজ করছে না।