নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কাটোয়া :: শুক্রবার ৪,অক্টোবর :: স্কুল চলাকালীন স্কুলের মধ্যে এক ছাত্রকে সাপে কাটে অথচ গুরুত্ব দেননি শিক্ষকরা। হাসপাতালে নিয়ে যেতে বিলম্ব হওয়ায় মৃত্যু হল ঐ স্কুল ছাত্রর। পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার কোশিপুর গ্রাম ইউনিয়ন ইনস্টিটিউটের ঘটনা ।
এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় চত্বরে তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়ে মৃতের আত্মীয় পরিজন থেকে শুরু করে গ্রামবাসীরা। ভাঙচুর করা হাই স্কুল চত্বর কাটোয়া বোলপুর রাস্তা অবরোধ করা হয় এবং প্রধান শিক্ষকের ঘেরাও করে রাখার হয়েছে বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম ইন্দ্রজিৎ মাঝি। কোশিগ্রামের পশ্চিম পাড়ায় বাড়ি। স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত। ছাত্রের বাবা কার্তিক মাঝি জনমজুরি করেন। গত মঙ্গলবার স্কুলের তৃতীয় ক্লাসের পর জল খেতে যায় ইন্দ্রজিৎ। তখনই ঘাসের আড়াল থেকে কিছু একটা কামড় বসায় পায়ে। ঘটনার পরেও ক্লাস করে ইন্দ্রজিৎ। ছুটির পর বাড়িতে যায়। পরিবার সূত্রে খবর বাড়িতে ফিরে খাওয়া দাওয়া করে।
বিকেল চারটে নাগাদ গ্রামেই টিউশন পড়তে চলে যায়। কিন্তু টিউশন পড়তে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। গৃহশিক্ষক তখন তাকে বাড়িতে দিয়ে চলে যান। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন বাড়িতে ফেরার পর থেকেই আর কথা বলতে পারছিল না ইন্দ্রজিৎ।
বাড়ির লোকজন মাথায় জল ঢালেন। চোখে মুখে জল দিয়েও হুঁশ ফেরেনি। মঙ্গলবার বিকেলে ইন্দ্রজিৎকে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বুধবার দেহটির ময়নাতদন্ত করানো হয়।
বুধবার ছিল মহালয়ার ছুটি। বৃহস্পতিবার স্কুল খুলতেই মৃত ছাত্রের ছবি হাতে গ্রামবাসীরা স্কুলের সামনে জড়ো হন। তাদের সঙ্গে সামিল হয় বেশকিছু পড়ুয়া। সবে তখন স্কুলে প্রার্থনা শেষ হয়েছে। শুরু হয় বিক্ষোভ। ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা প্রধানশিক্ষকের ঘরে ভাঙচুর শুরু করেন। তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এর পর কাটোয়া বোলপুর রোড অবরোধ শুরু করেন স্থানীয়রা।