নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: জলপাইগুড়ি :: ৩রা,এপ্রিল :: স্টেশন আছে, যাত্রী আছেন, স্টেশন মাস্টারও আছেন কিন্তু সেই স্টেশনে দাঁড়ায় না কোনও ট্রেনই। স্টেশনের নাম জলপাইগুড়ি টাউন । রোজ বেশ কয়েকটি এক্সপ্রেস ও মেইল ট্রেন যাতায়াত করে এই স্টেশনের ওপর দিয়ে কিন্তু দাঁড়ায় না একটি।
তাই স্থানীয় তৃণমূলের তরফে সেই স্টেশনের স্টেশন মাস্টারের কার্যালয়েরে নাম বদল করে রাখা হল ‘জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন মহাশ্মশান কার্যালয়’! যা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়িতে।
এদিন স্থানীয় যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জী ও তাঁর অনুগামীরা মিছিল করে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে আসেন। স্টেশন মাস্টারের ঘরের সামনে দরজায় ‘মহাশ্মশান কার্যালয়’ মর্মে পোস্টার মেরে দিলেন। অভিযোগ, স্টেশন থাকা সত্ত্বেও ট্রেন দাঁড়ায় না, তাই এই প্রতিবাদ ।
এদিনের এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে সৈকতবাবু বলেন, “এই স্টেশনে কোনও ট্রেন দাঁড়ায় না। এই স্টেশনের উপর দিয়ে মিতালী এক্সপ্রেস যায় কিন্তু দাঁড়ায় না। তাই এই স্টেশন মহাশ্মশান ছাড়া আর কিছু নয়।” তিনি আরও বলেন, ” আজ আমাদের কর্মসূচি ছিল রেল লাইনে নেমে হেঁটে হেঁটেই কলকাতা যাওয়ার।
কিন্তু রেল পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।এই ষ্টেশন অনেক পুরানো ষ্টেশন,প্রচুর নামী ট্রেন যাতায়াত করত এই ষ্টেশনের উপর দিয়ে, কিন্তুু বর্তমানে এই ষ্টেশন নীরব এবং একা তাই আমরা এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।আমরা চাই এই ষ্টেশন তার পুরানো মর্যাদা ফিরে পাক।