নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: রায়না :: রবিবার ৫,জানুয়ারি :: স্ত্রীকে বারবার শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজের বাড়ি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় স্বামী । বিবাহের পর থেকেই চলছিল পারিবারিকভাবে নানা অশান্তি। সেই অশান্তির জেরে যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু । আর তাকে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়নার বিদ্যানিধি গ্রামে ।
বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করতে হিমশিম খায় । মৃত যুবকের নাম সুরেশ মাঝি । বয়স ২১ বছর । পরিবারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে বিবাহের পর থেকেই অশান্তি চলছিল পারিবারিকভাবে । স্ত্রী নানা অজুহাতে স্বামীকে সন্দেহ করতে শুরু করে । খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হয় বাড়িতে । নব বিবাহিত বউ পাশেই বাবার বাড়িতে থাকত প্রায়শই ।
দেহ শ্বশুর বাড়ির সামনে রেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী- নিজস্ব চিত্র
সুরেশ মাঝির বাড়ির পাশেই তার শ্বশুর বাড়ি । গ্যারাজে কাজ করত স্বামী । বারবার নিজের স্ত্রীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে চাইলেও শ্বশুরবাড়ির লোকজন অমত করে। স্ত্রীকে বাড়ি ফেরাতে ব্যর্থ হয় সুরেশ। গতকালকেও শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে চায় । কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাধা দেয় ।
এমনকি বিবাহ বিচ্ছেদ করে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে দাবি তোলে । এরপরেই সুরেশ মাঝে বাড়ি ফিরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজের ঘরে আত্মঘাতী হয় । যদিও ঘরের সামনে রাস্তায় থাকা রক্তের ফোঁটা দেখে সন্দেহ জাগে পরিবারের। সকাল থেকে দেহ শ্বশুর বাড়ির সামনে রেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দেহ উদ্ধার করতে এলে আরো উত্তেজনা ছড়ায় ।
শ্বশুরবাড়ি থেকে সদস্যদের আটক করার সময়ও হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। উত্তেজিত গ্রামবাসী শ্বশুর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বেপরোয়া । কোনরকমে দেহ উদ্ধার করে সেখান থেকে যায় পুলিশ । এলাকায় নজরদারি চলছে। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।