নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: শনিবার ৩১,আগস্ট :: স্ত্রীর মর্যাদা পেতে প্রেমিকের দুয়ারে ধর্নায় বসেছেন এক যুবতী। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের কনুয়া এলাকায়। যুবতীর অভিযোগ, পালিয়ে বিয়ে করে ভাড়াবাড়িতে রেখে দিনের পর দিন সহবাস করে পালিয়ে গিয়েছেন তাঁর প্রেমিক। তিনি চাইছেন স্ত্রীর মর্যাদা। অভিযুক্ত যুবক স্থানীয় সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা ওই যুবতীর সঙ্গে ভবানীপুরের দাসপাড়া এলাকার যুবক শুভেন্দু দাসের সঙ্গে বছর দুয়েকের প্রেমের সম্পর্ক। শুভেন্দুর বাবা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সিপিএমের সদানন্দ দাস। যুবতীর বলেন, “বছর দুয়েকের প্রেমের সম্পর্ক। আমাকে শ্রাবণ মাসে সিঁদুর দান করে বিয়ে করে শুভেন্দু।
এরপরে চাঁচলের ভাড়া বাড়িতে আমরা স্বামী-স্ত্রীর মতোই থাকতাম। দিনের পর দিন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। তারপর হঠাৎ আধার কার্ড আনতে যাচ্ছি বলে ছেলেটি বেপাত্তা হয়ে যায়। তারপর থেকে কোনও খোঁজ নেই তাঁর। এমনকী যোগাযোগও বন্ধ করে দিয়েছে তাঁর প্রেমিক। আমি চাই আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ওর বাড়ির লোক ঘরে তুলুক। না হলে আমি এখানে আত্মহত্যা করব।”
যুবতীর অভিযোগ, স্ত্রীর মর্যাদা পেতে অভিযুক্তের বাড়িতে গেলে তাঁকে হেনস্তা করার পাশাপাশি মোবাইল কেড়ে নিয়েছেন অভিযুক্তের বাবা সদানন্দ দাস। বাড়ি থেকে বলপূর্বক বের করে দেওয়া হয়। তাই তিনি ধর্নায় বসতে বাধ্য হয়েছেন।
এদিকে যুবতী ধর্নায় বসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির সঙ্গে কথাবার্তা বলা হচ্ছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।