নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কাঁথি :: বৃহস্পতিবার ১৪,আগস্ট :: ১৯৪২ সাল স্বাধীনতার আগুন জ্বলছে ভারতবর্ষ সহ মেদিনীপুর এর আনাচে কানাচে।স্বদেশী আন্দোলন জমাট বেঁধেছে অবিভক্ত মেদিনীপুরের মাটিতেই।
পূর্ব মেদিনীপুর এর রামনগর এলাকার চন্দনপুর গ্রাম ছিলো তৎকালীন স্বাধীনতা সংগ্রামের পীঠস্থান ও গোপন ঘাঁটি। মেদিনীপুর এর স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক না বলা কাহিনী জড়িয়ে আছে এই চন্দনপুর গ্রামের সাথে।
চন্দনপুর এর চৌধুরী বাড়ি অর্থাৎ তৎকালীন জমিদার বাড়িতে আজও স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বাক্ষর বহন করে।জমিদার পুলিন বিহারী চৌধুরী ও ভূধর চৌধুরীর বংশধর রজত বরণ চৌধুরী স্মৃতি চারণ করছিলেন সেই স্বাধীনতা আন্দোলনের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের কথা।
তৎকালীন সংগ্রামী নেতা বলাই লাল দাস মহাপাত্র ছিলেন স্বদেশী আন্দোলনের দাপুটে নেতা।তাঁর প্রতিনিধিত্বেই স্বদেশী আন্দোলন এক নুতুন প্রাণ পায় মেদিনীপুরের রামনগর এর বুকে।তিনি তৎকালীন রামনগর এর এক জনপ্রিয় নেতাও ছিলেন।কাঁথি ও রামনগর এলাকার স্বাধীনতা সংগ্রামের গোপন আখড়া করতেন চন্দনপুর এর জমিদার বাড়ির গোপন ডেরায়।
সেই আখড়ায় আসতেন বিভিন্ন প্রান্তের লোক। চন্দন পুরে স্বাধীনতা সংগ্রামী দের মধ্যে আসতেন পুলিন রায়চৌধুরী,যামিনী পাহাড়ী, বিজয় মন্ডল,খগেন্দ্র রানা।এমনকি কাঁথি থেকে জমিদার বাড়ির আখড়ায় আসতেন প্রমথ বন্দোপাধ্যায়, ঈশ্বর মাল,সুধীর দাস প্রমুখ। জমিদার বাড়ির গোপন ডেরায় ও পড়ো মন্দিরে চলতো গোপন মিটিং ও লাঠি খেলার প্রশিক্ষণও দেওয়া হতো।