নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বীরভুম :: স্বামীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার নির্মম ‘শাস্তি’ ভোগ করতে হল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে । পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগেই তার দিকে অ্যাসিড ছোড়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। আর তাতেই পড়ুল পরীক্ষার্থীর মুখ ও হাত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রী।ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটি থানা এলাকায়।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নালহাটির গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা হীরা বানি খাতুন। আজ মঙ্গলবারই মাধ্যমিকের শেষ দিন। ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষায় বসতে নলহাটি গার্লস হাই স্কুলে পৌঁছেছিল সে। সহপাঠীদের সঙ্গে পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছিল। ঠিক সেই সময়ই সেখানে উপস্থিত হয় ছাত্রীর স্বামী রাজেশ শেখ।
নিষেধ করা সত্ত্বেও কেন স্ত্রী পরীক্ষা দিতে এসেছে, সেই নিয়ে শুরু হয়ে যায় বচসা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে এরপর পকেট থেকে অ্যাসিডের বোতল বের করে হীরা বানির দিকে ছুঁড়ে মারে বলে অভিযোগ।
অ্যাসিডে মুখ ও হাত পুড়ে যায় ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। সঙ্গে সঙ্গে তাকে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে । আর এই কারণে মাধ্যমিকের শেষদিনের পরীক্ষায় বসা হল না হীরা বানির। সবকটি পরীক্ষায় বসার পরও তীরে এসে তরী ডুবল।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, হীরা বানির মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে গত দু’দিন ধরেই স্বামীর সঙ্গে অশান্তি চলছিল।
স্বামী চাইছিলেন না স্ত্রী পরীক্ষা দিক। কিন্তু তার কথা অমান্য করেই মাধ্যমিক পাশ করার স্বপ্ন দেখছিল হীরা বানি। গতকাল রাতে তাদের অশান্তি চরমে পৌঁছায়। এরপরই এদিন স্ত্রীকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে রাজেশ সোজা পৌঁছে যায় পরীক্ষা কেন্দ্রে। তারপরই এমন চরম পরিণতি হল হীরা বানির। ইতিমধ্যেই স্থানীয়রা অভিযুক্ত রাজেশকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন । পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নলহাটি থানার পুলিশ।