নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: রবিবার ২৮,জুলাই :: বাজারে এখন আমের ছাড়াছড়ি। হিমসাগর থেকে ল্যাংড়া – আম ভক্ত প্রায় সকলেই। যথার্থভাবেই আমাকে অমৃত ফল বলা হয়। স্বাদে, গন্ধে ও গুণে আমের বিকল্প নেই। সুগারের রুগীদের অবশ্যই আম থেকে একটু দূরে থাকা দরকার।
সে তো গেলো সুগারের রুগীদের কথা। বর্তমানে গবেষক পুষ্টিবিদেরা বলছেন, আমাকে ঠিক মতো পরিপাক করাতে হলে ও আমের পুষ্টিগুণ ঠিক মতো কাজে লাগাতে হলে আম খাওয়ার অন্তত আধঘন্টা পর্যন্ত কয়েক ধরনের খাবার একদম খাওয়া উচিত নয়।
পুষ্টিতত্ত্ববিদেরা বলেন, –
* আম খাবার পরে তেতো জাতীয় কোনো খাবার, বিশেষ করে উচ্ছে বা করলা একদম খাবেন না। আমের পর উচ্ছে বা করলার তরকারি খেলে বমি বমি ভাব পেতে পারে, তাই শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য আমের পর করলাকে একেবারেই রাখবেন না পাতে।
* আম খাবার পরে অন্তত আধ ঘন্টা জল খাবেন না। আম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি জল খান তাহলে হতে পারে গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা। আম খাওয়ার পর অন্ততপক্ষে আধঘন্টা বিরতি দিয়ে তবেই জল খাওয়া উচিত।
* আম খাওয়ার পর যদি সফট ড্রিংক খান, তাহলে কিন্তু আপনার শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাবে ভীষণভাবে। আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হন তাহলে এই ভুল একেবারে করবেন না। সাধারণভাবে আমের সঙ্গে সফ্ট ড্রিঙ্কস একদম খাওয়া উচিত না।
* পুষ্টিবিদরা বলেন, আমের পর দই খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। আম খাওয়ার পর দই খেলে শরীরে শর্করার ভাগ অনেকাংশে বেড়ে যায় যার ফলে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এতে এক ধরনের বিষ ক্রিয়াও হতে পারে। তাই আম খাওয়ার পর দই খাওয়া একেবারেই যাবে না।
* আম ও তেল-মশলা যুক্ত খাবার পরস্পর বিরোধী। এই দুই ধরনের খাবার একসঙ্গে খেলে বদহজমের প্রবল সম্ভাবনা। এছাড়াও অতিরিক্ত তেল মশলাযুক্ত খাবার ত্বকের জন্য একেবারে ভালো না। তাই নিজেকে সার্বিকভাবে সুস্থ রাখার জন্য আমের পর তেল মসলাযুক্ত খাবার একেবারেই পাতে রাখবেন না।