নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: বৃহস্পতিবার ১১,সেপ্টেম্বর :: অমানবিক এক নৃশংসতার সাক্ষী থাকল পূর্ব বর্ধমান জেলার শহর বর্ধমানের বিজয়রাম এলাকার সাহাপাড়া। অভিযোগ, সৎ দাদু-দিদা মিলে খুন করেছে ১৫ বছরের এক কিশোরকে।
গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুনের পর আত্মহত্যার নাটক সাজাতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তাকে। মৃত কিশোরের নাম সৌরভ হালদার বয়স১৫বছর।
ময়নাতদন্ত শেষে মৃতদেহ গ্রামে পৌঁছতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, অভিযুক্ত দাদু মনমন্ত সাহা এবং দিদা চায়না সাহা পরিকল্পনা করে নৃশংসভাবে সৌরভকে খুন করেছে। তাদের ফাঁসি চাই।
প্রথমে পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। অবশেষে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত দাদু-দিদাকে। দূর সম্পর্কের মামিমা পিংকি প্রধান জানান, “প্রথম থেকেই মানুষ করেছি সৌরভ আর ওর ভাইকে। ওদের দাদু-দিদা খেতে দিত না বলে আমাদের বাড়িতে আসত। বহুবার মেরেছে।
আমি স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলাম, সেখান থেকেও নাম কেটে নেয় দাদু ও দিদা। মঙ্গলবার বড়ো ছেলেটা ছুটতে ছুটতে এসে আমায় জানায়, ওরা ভাই কে মেরে ফেলেছে। পরিকল্পনা করে খুন করেছে ওরা”। অভিযুক্তদের আত্মীয়া মালতি সাহা জানান, “আমরা বিচার চাই।
ওরা দু’জনে মিলে ছেলেটাকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়ে বলছে আত্মহত্যা করেছে। আসলে খেতে দিত না ওদের”। মৃত সৌরভের যমজ ভাই হিরণ হালদার এখনও শোকে ভেঙে পড়েছে