নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: রানীগঞ্জ :: ১৬,মে :: ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা ইসিএল প্যাচ অপারেটরের অফিসে ভাঙচুর, খনিতে বিস্ফোরণে গ্রামবাসীদের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।এর জেরে ভুক্তভোগী গ্রামবাসীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়িতে থাকতে হচ্ছে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, প্রতিবাদ করেও কাজ হয়নি।
ইসিএল কর্মকর্তাদের কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোনো সাড়া মেলেনি। এরপর বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে রানিগঞ্জের তিরাত ওসিপি অফিসে হামলা চালায়। মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। পরে খনি অপারেটররা পালিয়ে যায়।
গত কয়েকদিন ধরে, গ্রামবাসীরা রাণীগঞ্জে অবস্থিত ইসিএল নিমচা প্রকল্পের তিরাত হাইওয়াল খোলা পিট খনির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। কয়লা উত্তোলনের জন্য খনিতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটায় ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ভূমিধস হচ্ছে বিশেষ করে উপজাতীয় এলাকায় যেখানে খনি রয়েছে, সেখানে জলের স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে।
গত বুধবার দিনভর উৎপাদন বন্ধ ছিল।ইসিএলের সাতগ্রাম এলাকায় নিমচা হাইওয়াল মাইনিংয়ের বাইরে পিকেটিং শুরু করে গ্রামের ৬টি আদিবাসী মহল্লার আদিবাসী মহিলা ও পুরুষরা। আশ্বাস না এলে আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার ফের আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের সময় খনির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
কিন্তু গ্রামবাসীরা খবর পান রাতেই খনিতে উৎপাদন শুরু হয়েছে। ক্ষতিপূরণ ছাড়া কয়লা খনি কেন? মঙ্গলবার আবারও খনিতে ঢুকে পড়ে গ্রামবাসী। অফিস ভাংচুর করা হয়। ইসিএলের নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।