নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: গান্ধীনগর :: বৃহস্পতিবার ১৬,অক্টোবর :: গুজরাট রাজনীতিতে এক চাঞ্চল্যকর মোড় — রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীসহ সমস্ত মন্ত্রী হঠাৎই আজ পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন রাজ্যপালের কাছে।
এই ঘটনার পরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। বিজেপি শাসিত রাজ্যের এমন নাটকীয় পদক্ষেপের পেছনে কী কারণ, তা নিয়ে তীব্র কৌতূহল ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে থেকে সাধারণ নাগরিক পর্যন্ত।
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল আজ সকালে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রতের হাতে নিজের ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের সম্মিলিত পদত্যাগপত্র জমা দেন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “রাজ্য সরকারের কাজের ধারায় নতুন উদ্যম ও নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
তবে বিজেপির অভ্যন্তরীণ সূত্রে খবর, রাজ্য সংগঠনের পুনর্গঠন এবং ২০২7 সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দল বড়সড় রদবদলের পথে হাঁটছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে গত সপ্তাহে একাধিক বৈঠকের পরই এই সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি পর্যবেক্ষকদের।
বিরোধী কংগ্রেস ও আপ ইতিমধ্যেই এই পদত্যাগকে “ব্যর্থ প্রশাসনের স্বীকারোক্তি” বলে তীব্র কটাক্ষ করেছে। কংগ্রেস মুখপাত্র বলেছেন, “গুজরাটে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছিল। মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগে তা আরও স্পষ্ট হলো।”
এদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সি আর পাটিল জানিয়েছেন, “এটি একটি সাংগঠনিক প্রক্রিয়া। দল ও সরকারকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। নতুন মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেবেন খুব শিগগিরই।”
রাজভবন সূত্রে জানা গেছে, নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপি বিধায়ক দল বৈঠকে বসে নতুন নেতার নাম ঘোষণা করতে পারে।
এই হঠাৎ সিদ্ধান্তে গুজরাট রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের আভাস দেখা যাচ্ছে। আগামী কয়েক দিনে দলীয় নেতৃত্ব কাকে দায়িত্ব দেয়, তার দিকেই এখন তাকিয়ে পুরো দেশ।