নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: ঢোলাহাট :: রবিবার ১৪,জুলাই :: হাইকোর্টের নির্দেশে দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হলো ঢোলাহাট থানার মৃত যুবকের দেহ।পুলিশি হেফাজতে পুলিশের মারে যুবকের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন পরিবারের লোকজন। ঘটনার সঠিক তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন আবুর পরিবারের লোকজন।
সেই ঘটনায় আবুর দেহ দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেন বিচারপতি। শনিবার যখন কবর থেকে দেহ তোলার কাজ শুরু করে পুলিশ, তখন এলাকার লোকজন জড়ো হন। পরিবারের আশা, বিচার মিলবে। প্রসঙ্গত,গত সোমবার কলকাতার একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ঢোলাহাট থানার ঘাটবকুলতলা এলাকার বাসিন্দা আবুর।
দিন কয়েক আগে একটি চুরির ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশি হেফাজতে ওই যুবককে মারধর, অত্যাচার করা হয়। জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। একের পর এক হাসপাতাল ঘোরার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩০ জুন ঢোলাহাটের ঘাটবকুলতলা এলাকায় আবুর কাকার বাড়িতে চুরি হয়। সেই ঘটনায় থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। মৃত যুবক জামিনে মুক্ত হলেও বাকি দু’জন নাবালক বলে তাদের বারুইপুর জুভেনাইল বোর্ডে পাঠানো হয়। গত ৪ জুলাই তিন জনকে আদালতে তোলার আগে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়।
বুধবার দুপুরে মৃত যুবককে কবরস্থ করা হয়েছিল। গতকাল কলকাতা হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন ঢোলাহাট থানার মৃত যুবক আবু সিদ্দিকি হালদারের দেহের দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পুনরায় কবর থেকে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ তোলার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে।
পরিবারের লোকজনেরা দাবি করছে, পুনরায় ময়নাতদন্তের পর সম্পূর্ণ ঘটনা সামনে আসবে। পরিবারের আরো দাবি, পুলিশ হেফাজতে থাকার সময় পুলিশের মারেই গুরুতর অসুস্থ হয় ওই যুবক কার্যত পুলিশের মারেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবক। ইতিমধ্যেই পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে ঢোলাহাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আইএসএফের পক্ষ থেকে।