হাওড়ায় পুলিশ “মামা” হয়ে উঠল সত্যিকারের মামা।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: হাওড়া :: ০৮,মে :: রবিবার হাওড়া স্টেশনের জিআরপি আধিকারিকরা রীতিমতো নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করলেন ভাগ্নের মুখেভাত অনুষ্ঠান। সাবেকি বাঙালিয়ানার ঐতিহ্যকে বজায় রেখে সপ্তাহের ছুটির দিনে জিআরপির অফিসে মুখেভাত হল ছয় মাসের ছোট্ট গণেশ-এর।

ঘটনার সূত্রপাত ছয়মাস আগে হাওড়া স্টেশনের ১ নম্বর গেটে। সেখানেই হুগলির রিষড়ার নয়াবস্তি এলাকার বাসিন্দা টুম্পা দাস ও রাজু দাসের সন্তান ভূমিষ্ট হয়। হুগলির বাসিন্দা হলেও পেশায় বোতল কুড়ানি টুম্পা ও রাজুর সংসার হাওড়া স্টেশন চত্বরেই। সারাদিনে যাত্রীদের ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের বোতল কুড়িয়ে যা আয় হয় তাতেই সংসার চলে নুন আনতে পান্তা ফুরানো এই সহায় সম্বলহীন এই দম্পতির।

ইতিমধ্যে আরও ছয়টি সন্তানের পিতা ও মাতার পর হাওড়া স্টেশনের এক নম্বর গেটের পাশেই সর্বকনিষ্ঠ গণেশর জন্ম হয় ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে। একদিকে সাতটি সন্তানকে দুবেলা দুমুঠো অন্নের যোগান দিতে হিমশিম খেতে হয় এই দম্পতির। এছাড়াও কখনও বোতল কুড়াতে গিয়ে পুলিশের তাড়া খেয়ে নিজেদের ও সন্তানদের বাঁচানোর অদম্য লড়াই করে আসছে এই দম্পতি।

যদিও জন্মের পর থেকেই হাওড়া জিআরপির আধিকারিকরা সদ্যজাত গণেশর প্রতি বাড়িয়েছিল স্নেহের হাত। আর সেই মানবিক আবেগের প্রতিফলন দেখা গেল হাওড়া জিআরপির অফিসে। নিজেদের হাতে থালাতে ভাত, ডাল, তরকারি, মাছ সহ একাধিক পদ সাজিয়ে নিজেদের হাতে আবেগে চোখের জলে ভিজে খাওয়ালেন তাঁদের আদরের ভাগ্নে গণেশকে।

হাওড়া জিআরপির মুখ্য আধিকারিক সিদ্ধার্থ রায় ও হাওড়া ডনবস্ক আসাইলামের যুগ্ম তত্ত্বাবধানে পুলিশ মামা হয়ে উঠল গণেশর সত্যিকারের “মামা”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − 4 =