নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: হাওড়া :: হাওড়া সিটি পুলিশের ‘শ্রদ্ধা’ প্রকল্পের অধীনে রবিবার শারদীয়ার মহাসপ্তমীর দিন হাওড়া সিটি পুলিশের তরফ থেকে প্রায় ৫০ জন প্রবীণ ব্যক্তিকে বেলুড় মঠ সহ শহরের বেশ কিছু বড়ো প্রতিমা দর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। দুটি বাসে করে এরা রওনা হন। হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী ওই দুটি বাসের ফ্ল্যাগ অফ করেন।
প্রসঙ্গতঃ এদের কারও বয়স ৭০, কেউ বা আশি ছুঁইছুঁই। কেউ বা নব্বই পার। হাওড়ার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা এই বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মধ্যে একটা বিষয়ে মিল রয়েছে তা হলো এরা সকলেই একাকী জীবন যাপন করেন। কারও সন্তান আমেরিকা, কারও বা লন্ডন আর কেউবা জার্মানিতে চাকুরিরত।
তাই অর্থের প্রাচুর্য থাকলেও বয়সের ভারে জীর্ণ আর লোকবলহীন এইসব বয়স্করা দুর্গাপুজোর আনন্দ শুধুমাত্র জানলার পর্দা সরিয়ে রাস্তায় চলমান মানুষকে দেখে আর কানে লাউড স্পিকারের শব্দ শুনে কাটাতেন।
দীর্ঘদিন ধরে এমনই চলে আসছিল। কিন্তু এবারের চিত্রটা একটু অন্যরকম। হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠীর উদ্যোগে এইসব বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের নিয়ে হাওড়া সিটি পুলিশ নিজেদের দায়িত্বে গাড়িতে করে বিভিন্ন পূজামন্ডপে নিয়ে যান। পঞ্চমীর দিন কলকাতায় এবং সপ্তমীর দিন হাওড়ায় এদের প্রতিমা দর্শন করানো হয়।
এইভাবেই রবিবার সকালে এরা এসে পৌঁছান বেলুড় মঠে। এদের সকল সদস্যকে ঠাকুর দর্শন করিয়ে একসাথে বসে ভোগ খান পুলিশ আধিকারিকরাও। দীর্ঘ একাকীত্বের পরে পুলিশের এই সহমর্মিতা এবং ভালোবাসার ছোঁয়া পেয়ে খুশি বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধারাও।