কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: ৮ই,এপ্রিল :: হাসপাতালের আউটডোরে রোগীর ভীড়। সময় মতো আউটডোরে নেই ডাক্তার, হাসপাতাল চত্বরেই ব্যক্তিগত চেম্বারে ব্যস্ত ডাক্তার বাবু । ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় রোগীদের। এমন চিত্র ধরা পড়েছে শনিবার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের ভালুকা বাজার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আউটডোরে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,একটিমাত্র ডাক্তার নিয়ে চলছে ভালুকা প্রাইমারি হেলথ সেন্টার।এতে নাজেহাল রোগীরা।ঠিক সময় মত আসছেন না ডাক্তার। অথচ এই প্রাইমারি হেলথ সেন্টার এর ওপর নির্ভরশীল আশেপাশের গ্রামের মানুষ।
জানা গেছে এই হাসপাতালে দুই জন মেডিকেল অফিসার দায়িত্বে ছিলেন।
তারা দুজনেই ছুটিতে রয়েছেন।সেই জায়গায় ডেপুটেশনে এসেছেন চিকিৎসক আই ফারানা ইয়াসমিন।এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একমাত্র চিকিৎসক তিনি।কিন্তু তিনিও হাসপাতালে আউটডোর ছেড়ে নিজের প্রাইভেট চেম্বার করতেই ব্যস্ত বলে অভিযোগ রোগীদের।
হাসপাতালের আউটডোর সময়মতো খুললেও দেখা মেলে না চিকিৎসক ফারহানা ইয়াসমিনের।ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় মুমূর্ষ রোগীদের।এই বিষয়ে হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি বলে রোগীদের অভিযোগ।যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন চিকিৎসক ফারানা ইয়াসমিন।তার দাবি তিনি এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একমাত্র চিকিৎসক।
আউটডোর ছাড়া অন্যান্য সেকশন তাকে দেখতে হয়।তাই খানিকক্ষণের জন্য তিনি এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে গিয়েছিলেন এবং রোগীদের বসতে বলেছিলেন।ফতেপুর থেকে আসা এক রোগী আক্তারুল ইসলাম বলেন ‘আমার দীর্ঘদিন হলো এক্সিডেন্টে হাত এবং পা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।আমি ডাক্তার দেখানোর জন্য শনিবার ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসেছিলাম কিন্তু দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরও চিকিৎসকের দেখা মেলেনি।
শুনতে পেলাম উনি নিজের চেম্বারে রোগী দেখতে ব্যস্ত রয়েছেন।এদিকে ঘন্টার পর ঘন্টা রোগীরা আউটডোরে অপেক্ষা করে চিকিৎসক না পেয়ে রীতিমতো বিক্ষোভ প্রদর্শনও করেন।এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।