সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: নামখানা :: হাসপাতাল আছে কিন্তু নেই কোন ডাক্তারের দেখা নেই। বাধ্য হয়ে চিকিৎসার জন্য অন্যত্র ছুটে যেতে হচ্ছে রোগীর পরিবারদের।দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানা ব্লকের অন্তর্গত মহারাজগঞ্জ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে প্রায় বন্ধ পড়ে রয়েছে। এমনটাই অভিযোগ করছে স্থানীয়রা। হাসপাতালে নেই ডাক্তার।
বাড়ির অসুস্থ রোগীদের নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় বহু পরিবারকে। ২০১৩ সালের পর থেকে মহারাজগঞ্জ হাসপাতালে কোন চিকিৎসকই ঠিকভাবে থাকছে না।এলাকাবাসীদের অভিযোগ ছোট বড় যেকোনো সমস্যায় মহারাজগঞ্জ হাসপাতালে গেলে সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে রোগীদের রেফার করা হয় দারিক নগর হাসপাতালে।তেরো সালের ২৬ শে ফেব্রুয়ারী ১০শয্যা বিশিষ্ট নামখানা বাসিন্দাদের জন্য একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ ২০১৩ সালের পর থেকে তেমন ভাবে এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দেখা মেলেনি চিকিৎসকের। চিকিৎসক না থাকায় কার্যত বিপাকে পড়েছে গ্রামবাসীরা।
যদি হাসপাতালে ডাক্তারই না থাকে তাহলে হাসপাতাল থেকে লাভ কি ? যদিও বা কখনো সখনো ডাক্তার আসে এই হাসপাতালে তাও আবার বেশিদিন থাকেন না। একপ্রকার বলা যেতেই পারে মহারাজগঞ্জ হাসপাতালে ছুটি কাটানোর মতনই ডাক্তার আসে মাঝেমধ্যে।
হঠাৎ করেই চিকিৎসার পরিকাঠামো ভেঙে পড়ে। এখন মাঝে মধ্যেই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক আসে । এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নার্স ও সাফাই কর্মী সবই রয়েছে কিন্তু চিকিৎসক নেই। নামখানা ব্লকের মানুষ যাতে চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা পায় সেই ব্যবস্থা করুক রাজ্য সরকার।
প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র বন্ধ থাকায় ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপীর সহ সভাপতি সুমিত আদক জানিয়েছেন, অবিলম্বে এই হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষে চালু না হলে আগামী দিনে এলাকার মানুষদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।
অপরদিকে হাসপাতালে অচল পরিষেবার কথা স্বীকার করে আগামী দিনে যথা শীঘ্রই চিকিৎসা পরিষেবা পুনরায় চালু করার আশ্বাস দিয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।
তবে প্রশ্ন একটা থেকেই যাচ্ছে কবে নামখানা ব্লকে সরকারি প্রাথমিকস্বাস্থ্য কেন্দ্রে গেটের তালা খুলবে কবেই বা সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সুযোগ-সুবিধা পাবে ?