নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: তমলুক :: সদ্যজাত শিশুকন্যাকে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে। এমনি একটি ঘটনা ঘটেছিলো ০১/০৫/২১ তারিখে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতির হোমে। রাতে অন্ধকারে হোমের দরজার সামনে একটি সদ্যজাত শিশুকন্যাকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। হোম কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করে আইনী মতে তার লালনপালন করতে থাকে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ঝিনুক।
সেই ঝিনুকের আজ জন্মদিন পালিত হলো মহাধুমধাম সহকারে।এখন ছোট্ট ঝিনুকের বয়স প্রায় ৬ মাস। তাকে দত্তক দেওয়ার প্রক্রিয়ায় পেপার বিজ্ঞাপন, চাইল্ড স্টাডি রিপোর্ট, মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট, পদ্ধতিগত দত্তক দেওয়ার কাজ হয়ে গেছে। এখন পছন্দমত অভিভাবক পেলে ঝিনুক তার আইনী পিতা-মাতার কাছে চলে যাবে।
স্বাভাবিকভাবে খুশির আনন্দে বিহ্বল সবাই, সকালবেলায় মা বর্গভীমা মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রসাদী এনে শঙ্খ আর উলুর ধ্বনিতে কপালে চন্দনে ফোটা, ফুলের মালা, পায়েস, মিষ্টি সব রীতি অনুযায়ী অন্নপ্রাশন হয়।
হোমের ২০০ জনের খাওয়া দাওয়ার সাথে সাথে সবাইকেই পায়েস মিষ্টি খাওয়ানো হয়। হোমের সুপার সুদেষ্ণা মাইতি বলেন আমাদের এই দত্তক ইউনিট থেকে ইতিমধ্যে ৩৯ জন শিশুকে দত্তক দিয়েছে। তার মধ্যে একটি কন্যা সন্তান ইতালি পাঠানো হয়েছে, প্রথম এই শিশুটি বেবি সেন্টারে ফেলে দিয়ে যায় তাই এর অন্নপ্রাশনের অনুভূতি একটু আলাদা ।
করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কাজ করেছি।হোমের সাধারণ সম্পাদক জানান এই কন্যা সন্তানটি যেদিনকে ডল বেবি সেন্টারে ফেলে দিয়েছিল সেই দিন উপস্থিত ছিলাম অফিসে, দেখে শুধু খুশি নয় সচেতন বাবা-মাকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা ছিল না । কারণ ওকে যদি ফোনে ঝোপে বা রাস্তার ধরে ফেলে যেত তাহলে বাঁচানো যেত না শিশুটিকে। চাহিদা অনুযায়ী শিশুর অভাব আছে তারপর কন্যা সন্তান ভীষণ ভালো লাগছে আর আমাদের হোমের কর্মীরা ভীষণ যত্নবান।