নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: দুর্গাপুর :: শনিবার ২৭,মে :: মাউন্ট এভারেস্টের পাদদেশ থেকে চড়াই উৎরাই পার হয়ে সীমান্ত পেরিয়ে গত ১৫ বছর আগে এদেশে ঢুকেছিল। প্রথমে দার্জিলিং শিলিগুড়ি তারপর পাহাড় থেকে সমতল বাংলার শেষ সীমান্ত ভারত বাংলাদেশের হিঙ্গলগঞ্জের সুন্দরবনে চলে এসেছিল।
বছর ৫২ এর জান বাহাদুর বাড়ি নেপালের সরলাই জেলার লাল ভিটি এলাকায়। ১৫ বছর আগে নেপালের কাঠমন্ডু তে গিয়েছিলেন ডাক্তার দেখাতে সেখান থেকে আর বাড়ি ফেরা হয়নি।। দীর্ঘ প্রায় সাত মাস আশ্রয় স্থল হল উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে। মানসিক ভারসাম্যহীন এই এই ব্যক্তিকে দেখে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নজরে আসে।
সমাজসেবী সুশান্ত ঘোষ হ্যাম রেডিওর সাথে যোগাযোগ শুরু করে । রাজ্য সম্পাদক অম্বরিশ নাথ বিশ্বাস এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার ছবি পুরো ঠিকানা নেপালে পাঠান। শুরু হয় ওই ব্যক্তির বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ। দীর্ঘ সাত মাস তাকে সুস্থ সেবা করেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কর্মীরা।
প্রথমে তাকে চুল দাড়ি কাটিয়ে শারীরিক পরিছন্নতা করে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তারপরে দুবেলা তার খাবারের ব্যবস্থা করেন। এর পরই নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করে ।জানা যায় তার ঠিকানা ভিন দেশ নেপাল জানাযায় কাঠমন্ডুতে চিকিৎসা করতে এসে আর বাড়ি ফেরেনি । তার স্ত্রী পূর্ণিমা বাহাদুর ও দুই পুত্র সন্তান রয়েছে।
এরপর যোগাযোগ শুরু হয় নেপালি দূতাবাসের সঙ্গে সেখান থেকে ভারতীয় দূতাবাস পুরো বিষয়টা জানার পর দুই দেশের দূতাবাসের আধিকারিকদের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক হওয়ার পরে ,চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় ওই যুবককে নেপালি দুতবাসের হাতে তুলে দেয়া হবে ।
আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নেপালি দূতাবাসের সেক্রেটারি জেনারেল সতিশ থাপা আজ হিঙ্গলগঞ্জের এসে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে প্রথমে কলকাতায় তাদের দূতাবাস কি যাবে তারপর সেখান থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে নিয়ে যাবে ঐ ব্যক্তিকে ।
তারপর তার পরিবার হাতে তুলে দেয়া হবে। দীর্ঘ ১৫ বছর পরে হারানো স্বামীকে ফিরে পেয়ে স্ত্রী আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়বে আবার দুই সন্তান নিখোঁজ বাবাকে ফিরে পাওয়ায় তাদের নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখবে।