১০ জন রোহিঙ্গা আটক, গাঁজা পাচার করতে গিয়ে ধৃত যুবক, ১১ লক্ষ টাকার নেশা সামগ্রী কফ সিরাপ জব্দ, ধৃত বহিঃরাজের লরি চালক

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: ত্রিপুরা :: সোমবার ২০,জানুয়ারি :: ত্রিপুরা রাজ্য প্রবেশের মুখে অসম চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোস্ট পুলিশের হাতে ফের বিপুল পরিমাণ কফ সিরাপ আটক হয়েছে। একান্ডে জড়িত থাকার দায়ে লরির চালক রবিউল শেখকে পুলিশ আটক করেছে।জানা গেছে ধৃত চালকের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায়।

তবে বিহারী এক যুবকের কাছ থেকেও পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ আটক করল ৫ কেজি ১০০ গ্রাম শুকনো গাঁজা। ধৃত যুবকের নাম বিক্রম কুমার। সে রাজধানীর যোগেন্দ্রনগর স্থিত এলাকায় গাঁজা নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল।

ঠিক তখনই যোগেন্দ্রনগর রেলস্টেশন থেকে ৫ কেজি ১০০ গ্রাম গাঁজা -সহ যুবককে আটক করে পূর্ব থানার পুলিশ। সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পূর্ব থানার ওসি  রানা চ্যাটার্জি।

এদিকে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কৈলাসহরের ইরানি থানার পুলিশ দশ জন রোহিঙ্গা আটক করেছে! ধৃতদের কৈলাসহর ইরানি থানার অন্তর্ভুক্ত সফরিকান্দি এলাকায় এক ভাড়া বাড়ি থেকে আটক করা হয়। ধৃত দশ জনের মধ্যে ছয়জন প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলা, বাকি চার জনের মধ্যে রয়েছে দেড় মাসের এক শিশু এবং এক বছর, চার বছর ও সাত বছরের তিনজন শিশু।

ধৃত দশ জন গত ১৩ জানুয়ারি ট্রেনে দিয়ে হায়দ্রাবাদ থেকে রওনা দেয়। ১৬ জানুয়ারি ধর্মনগর স্টেশনে এসে পৌঁছায়। তারপর কৈলাসহরের সফরিকান্দি এলাকার এক দালাল তাদেরকে ধর্মনগর স্টেশন থেকে নিজ বাড়িতে আনে।

ধৃত দশজন বাংলাদেশ যাবার জন্য ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের পাশ্ববর্তী এলাকা সফরিকান্দি এলাকায় দুই দিন ধরে দালালের বাড়িতে অবস্থান করছিলো বলে পুলিশ জানায়।

পুলিশ সফরিকান্দি এলাকায় গিয়ে যে বাড়ি থেকে দশজন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে সেই বাড়ির মালিক তথা দালালকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশকে দেখে দালাল পালিয়ে যায় বলেও জানায় পুলিশ।

আশ্চর্যজনক ঘটনা হলেও সত্যি যে, এরা সবাই বিগত আট বছর পূর্বে সফরিকান্দি এলাকার ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে কৈলাসহরে প্রবেশ করে হায়দ্রাবাদ চলে গিয়েছিলো।

বিগত আট বছর ধরে তারা হায়দ্রাবাদে অবস্থান করছিলো। সাম্প্রতিক কালে কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ভারতের মেট্রো শহর গুলোতে পুলিশের অভিযান শুরু হয়। সেই অনুযায়ী হায়দ্রাবাদ শহরেও পুলিশের অভিযান শুরু হয় এবং তাতে অবৈধভাবে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা ভয় পেয়ে ফের বাংলাদেশ যাবার জন্য কৈলাসহরে আসে। তারপরেই আটক হয় তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 + eleven =