নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: চুঁচুড়া :: চুঁচুড়ার সিংহিবাগান নতুনপাড়ায় বিগত ২০০৮সাল থেকে বসবাস করছেন ভারতীয় রেল পুলিশের কর্মী মনোতোষ কান্তি দাস। সঙ্গে ছিলেন এক মহিলা ও দুই পুত্র। আর পাঁচজনের মত সিংহিবাগানের মানুষরা ভেবেছিলেন সেটা মনোতোষবাবুরই সংসার।
দীর্ঘ ১৪বছর পর ভূল ভাঙলো স্থানীয় বাসিন্দাদের। মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ করেই নতুনপাড়া থেকে জনা কয়েক মানুষের উদয় হয় সেখানে। যারা দাবী করেন মনোতোষবাবু আদতে নদীয়ার সিমুরালির বাসিন্দা। সেখানেই তাঁর স্ত্রী, এক পুত্র ও কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু ২০০৮ সাল থেকে তিনি সিমুরালির বাড়িতে যান না বলেই অভিযোগ।
২০১৯সালে মনোতোষবাবুর স্ত্রী আ.পি.এফ দপ্তরে অভিযোগ জানালে তারপর থেকে প্রতি মাসে ১০হাজার করে টাকা পাঠাতেন বটে কিন্তু সিমুরালির বাড়িতে সেভাবে যেতেন না। কিন্তু যখনই যেতেন সিমুরালিতে থাকা বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ধার করে নিয়ে আসতেন।
প্রথমদিকে টাকা শোধ দিলেও ২০১৯ সালের পর থেকে আর সিমুরালিতে যাওয়া একেবারেই কমিয়ে দেন মনোতোষ। ফলে মনোতোষের পরিবারের উপর পাওনাদারদের চাপ বাড়তে থাকে |বহু জায়গা ঘুরে অবশেষে মঙ্গলবার সকালে মনোতোষের পরিবার ও শিমুরালির বাসিন্দারা পৌঁছন চুঁচুড়ার সিংহিবাগান নতুন পাড়ায়। সেখানে একটি একতলা সুদৃশ্য পাকা বাড়িতে এসে চক্ষু চড়কগাছ মনোতোষের পরিবারের।মনোতোষের সাথে যে মহিলা ও দুই পুত্র রয়েছেন বিগত দিনে মনোতোষ তাঁদেরকে একাধিকবার অফিস কলিগ হিসাবে শিমুরালির বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন। শিমুরালির বাড়িতে ওই মহিলাকে পাতানো বোন হিসাবেই পরিচয় দিয়েছিল মনোতোষ। বিষয়টি জানতে পেরে চোখ ছানাবড়া সিংহিবাগান এলাকার বাসিন্দাদেরও।
মনোতোষবাবুকে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানরা বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। একটা সময় মনোতোষকে নিয়েই শুরু হয় টানাটানি। ঘটনায় আসত হন শিমুরালিতে থাকা মনোতোষের ছেলে সহ প্রতিবেশীরা | ঘটনায় শিমুরালির কয়েকজন আহত হন | তাদের চুচুরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে |