নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বসিরহাট :: শনিবার ৭,আগস্ট :: ১৪ অগাস্ট রাতে ডিউটিরত অবস্থায় দুষ্কৃতীদের ছোড়া ঢিলে গুরুতর আহত রাজ্য পুলিশে কর্মরত মহিলা কনষ্টেবল। চোখে গুরুতর আঘাত নিয়ে জানালেন ওই রাতের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা।
রাতটা কি শম্পারও ছিল না?
রাতটা সেদিন মেয়েদের ছিল। কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের নিরাপত্তার দাবীতে রাস্তা দখলের রাত। আর জি কর হাসপাতালে কর্মক্ষেত্রে নির্যাতনের মর্মান্তিক শিকার হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলা চিকিৎসকের । যাঁর জন্য সহমর্মিতায় ১৪ ই আগস্ট রাতে নারীপুরুষ নির্বিশেষে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ জড়ো হয়েছিলেন রাস্তায়।
রাস্তায়, যেখানে রাস্তায় মানুষদের নিরাপত্তায় ছিলেন নদীয়ার শান্তিপুর লক্ষীনাথ পুরের বাসিন্দা কনস্টেবল শম্পা প্রামাণিক। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্মী শম্পার প্রামানিকের কাজ ছিল নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়া। শম্পা ১৪ অগস্টের রাতে নিজের কাজটাই করছিলেন বাগুইআটিতে।
রাতে যাঁরা রাস্তায় হাঁটছিলেন, শম্পা তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্বে ছিলেন। কাজ করছিলেন রাস্তায়, নিজের কর্মক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে। হঠাৎই জমায়েতের মধ্য থেকে দুষ্কৃতীরা পুলিশের দিকে ইট,পাথর ছুড়তে থাকে।যার একটি গিয়ে লাগে শম্পার চোখে ।
রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে তার অন্যান্য সহকর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার চোখের চিকিৎসা হয়। পরবর্তীতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে গতকাল রাতে বাড়ি ফেরেন কনষ্টেবল শম্পা প্রামানিক।তবে প্রশাসনিক পদক্ষেপে আস্থা আছে শম্পার। যদিও তার পরিবার এখনো আতঙ্কে। তবে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক স্বাস্তির দাবি করেছেন শম্পার পরিবার।