নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: ডায়মন্ডহারবার :: বুধবার ২১,আগস্ট :: ১৭ বছর আগে বাড়ি থেকে হটাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা । এরপর বহু খোঁজাখুঁজি করেও নিখোঁজ ওই মহিলার কোন সন্ধান না পাওয়াতে এক প্রকার হাল ছেড়ে দিয়েছিল পরিবারের লোকজন । দীর্ঘ ১৭ বছর পর সেই পরিবারে নতুন আলো দেখালো ডায়মন্ডহারবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল।
রাখি পূর্ণিমার ঠিক পরের দিন হ্যাম রেডিও সহযোগিতায় ১৭ বছর পর বোন খুঁজে পেল তার নিজের দাদাকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে দাদার হাতে রাখি পরিয়ে দাদার হাতে ধরে নিজের বাড়ি ফিরল বোন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, চলতি বছরের জুন মাসের ৩০ তারিখে ডায়মন্ডহারবার রেল পুলিশ দুর্ঘটনা গ্রস্ত এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে।
হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করার পর মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলাকে স্থানান্তরিত করা হয় ডায়মন্ড হারবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে প্রায় দেড় মাসের চিকিৎসার পর চিকিৎসায় সাড়া দিতে শুরু করে ওই মহিলা। এরপর কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা ওই মহিলার নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করেন। প্রথমদিকে ওই মহিলা কিছু না বললেও পরবর্তী সময়ে চিকিৎসকদের কথায় বেশ কিছু কথা বলে।
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা সমস্ত বিষয়টি হাসপাতালের অতিরিক্ত সুপার মহাশ্বেতা দেকে জানান। এরপর মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলাকে বাড়ি ফেরানোর জন্য উদ্যোগী হন ও যোগাযোগ করা হয় হ্যাম রেডিওর সাথে। বহু প্রচেষ্টার পর হ্যাম রেডিওর সদস্যরা ওই মহিলার বাড়ির সন্ধান পান । হ্যাম রেডিও সূত্রের খবর, ওই মহিলার নাম ঋতুপর্ণা সরদার ।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গা থানার অন্তর্গত নোয়াজিসপুর গ্রামে বাড়ি । হ্যাম রেডিও সহযোগিতায় পরিবারের লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর মঙ্গলবার বিকেলে নিজের বোনকে বাড়ি ফেরানোর উদ্দেশ্যে ডায়মন্ডহারবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে হাজির হন ঋতুপর্ণা সরদারের দাদা শশধর সরদার। নিজের বোনকে পেয়ে খুশি শশধর ।