নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :; কলকাতা :: বুধবার ১৭,জুলাই :: দুটি রাজনৈতিক দল (তৃণমূল ও বিজেপি) একে অপরের দিকে আঙ্গুল তুললেও আসল কথা ভোট রাজনীতি। কেউ ভোটের স্বার্থে বাংলাদেশ থেকে সংখ্যালঘুদের আনছেন তো কেউ ভিন রাজ্য থেকে অবাঙালিদের আনছেন। এ এক বিচিত্র রাজ্য।
সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে ২০১৫ সালের পরে যে হকাররা কোলকাতায় ভিড় করেছে, তাদের একটা বড়ো অংশ বিহার ও ঝাড়খন্ডের। এখন প্রশ্ন এদের কে আনলেন ? ও তার বিনিময়ে কাদের পকেটে কত ঢুকলো? ২০১৫ সালের তালিকা অনুযায়ী শহরে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার হকার থাকার কথা। কিন্তু সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, গত ন’বছরে ওই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।
তবে এ প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ কলকাতা পুরসভার কোনও অধিকারিক। তবে ‘হকার জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি’র নেতা অসিত সাহা বলেন, ‘‘কোভিডের পর সারা পৃথিবী বদলে গিয়েছে। ২০১৫ সালের যে তথ্য নিয়ে কলকাতা পুরসভা আলোচনা করছে, তা সেই অর্থে প্রাসঙ্গিকই নয়। কারণ, কলকাতা শহরে এই মুহূর্তে প্রায় পাঁচ লক্ষ হকার রয়েছেন।”
এখন প্রশ, কী হবে এদের নিয়ে! এরা অধিকাংশই হিন্দিভাষী। ফলে দৈনন্দিন কাজে বাংলা থেকে বাংলাভাষা লোপ পাওয়ার মুখে। একেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আইডেন্টিটির সমস্যা দেখা দিয়েছে।
তবে কলকাতা শহরের উড়ালপুলগুলির নীচে হকার-সহ পাকাপাকি ভাবে দোকান ও ঘরবাড়ি তৈরি করে ফেলার মতো বিষয়টি যে পুরসভা যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পুরসভার চূড়ান্ত রিপোর্ট আগস্ট মাসের মধ্যে তৈরী হবার পরে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী।