২০২৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) রাজনৈতিক অবস্থান কিছুটা পরিষ্কার এবং কিছুটা চ্যালেঞ্জময় মনে হচ্ছে।

আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: বৃহস্পতিবার ১৯,জুন :: তৃণমূল কেন্দ্র করে রাজ্যের প্রায় অর্ধেক জেলায় দলীয় রদবদল ও সংগঠন সাজানো হয়েছে—বীরভূম-সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা থেকে অনীহা ও অনিয়ম দূরীকরণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।

দল ঘোষ্ট-ভোটার সমস্যা চিহ্নিত করে প্রতিটি বুথ পর্যায়ে কমিটি ও এজেন্ট নিয়োগ করছে ।

‘বাংলার বাড়ি’–গ্রামীণ হাউজিং প্রকল্পের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ গৃহহারী পরিবারকে সহায়তা করে, কেন্দ্রীয় অর্থ বন্ধ হলেও রাজ্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ।

আর্থ-সামাজিক ইস্যুতে তৃণমূল-এর নিজস্ব উদ্যোগ যেমন মজুদ কর্মসংস্থান ও আবাসন প্রকল্প ভোটারদের কাছে ইতিবাচক বার্তা তৈরির পরিকল্পনা করছে।

সঙ্ঘাত ও ধর্মীয় পোলারাইজেশন :::—রাজনৈতিক কৌশল । ২০২৬–এর ভোটকে ধর্মীয় ভিত্তিতে বিভাজনমূলক পাটাতন হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা হচ্ছে—রামনবমী ইত্যাদির রাজনৈতিকীকরণ হয়ছে ।

একই সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু-পরিমন্ডলও জোরদার করেছেন—তিনি নিজেকে “হিন্দু ব্রাহ্মণ” বলেন ও ধর্মীয় ইস্যুতে জোরালো ভূমিকা নেন ।

জন বার্লা (চা-বাগানের নেতা) ও সংকর মালাকার (প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা)–র যোগে তৃণমূল উত্তরবঙ্গে শক্তিশালী হচ্ছে । উত্তরবঙ্গকে একটি গুরুত্বপুর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করে, সেখানে তৃণমূল ও বিজেপি উভয়ই কেন্দ্রীভূত প্রচার চালাচ্ছে।

রাজ্যিক স্তরে তৃণমূল একা লড়াই করতে চাইছে, কংগ্রেস বা অন্য শক্তির সঙ্গে জোটের প্রবণতা শূন্য । ‘INDIA bloc’–এর অন্তর্গত হলেও রাজ্য নির্বাচন তারা নিজেরাই পরিচালনা করার অবস্থানে ।

ক্ষমতায় ফিরতে আকাঙ্খা বিশ্লেষকরা মনে করছেন তারা ১০০%–এর বেশি আসন পেতে পারে—১২৭ আসনের অধিক জাতীয় কেন্দ্র ধরে রাখবে ।

প্রধান চ্যালেঞ্জ BJP–এর ধর্মীয় ও নারী ভোটের উপর আকর্ষণ, আর সহিংসতা বা ঘোষ্ট ভোট ইস্যু–সৃষ্টির চেষ্টা । রাজনৈতিক বিপ্লব অরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও অভ্যন্তরীণ অশান্তির মাঝেও, তৃণমূল–এর সংগঠন শক্তিশালী হচ্ছে এবং তারা আকর্ষণীয় উন্নয়ন ইস্যু–তৈরী করতে শুরু করেছে।

নিজস্ব উন্নয়নমূলক ও জনকল্যাণ কর্মসূচি নিয়ে ভোটারদের কাছে শক্ত অবস্থানে থাকবে। উত্তরবঙ্গে তাদের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে নতুন নেতাদের যোগ ও জোট-বিকল্পহীন একক লড়াইয়ের মাধ্যমে। তবে BJP–এর ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক আক্রমণ ও ভোট টানার কৌশল, ঘোষ্ট ভোট–জটিলতা, ও উত্তরবঙ্গ প্রকরণে এটি শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত থাকবে।

স্ট্রাটেজিক অর্থে তারা ক্ষমতায় প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াই জায়গা দখল করার চেষ্টা করবে। ২০২৬–এ তৃণমূলের রাজনীতিতে শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখার সম্ভাবনা আছে, তবে BJP–র ধর্মীয় ভিত্তিক কৌশল, উত্তেজনা, উত্তরবঙ্গে প্রতিযোগিতা ইত্যাদি কারণে তৃণমূলের ‘চতুর্থবার ক্ষমতায়’ থাকার পথ মোটেও মসৃন হবেনা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen + eighteen =