নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: মঙ্গলবার ২৩,জুলাই :: ২১ জুলাইয়ের শহীদ দিবসের মঞ্চ প্রকৃতপক্ষে হয়ে উঠেছিল তৃণমূলের নেতা কর্মীদের সংশোধন করার মঞ্চ। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলেছে, তিনি বিত্তবান চান না হৃদয়বান নেতা কর্মী চান।
আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরো এক পা এগিয়ে ‘শুদ্ধকরণে’র বার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, “পুরসভা এবং পঞ্চায়েতে যারা আছেন তাদের মানুষের কথা ভাবতে হবে। নিজের কথা ভাবলে চলবে না। আমি কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত সদস্য হব । বাকিটা পার্টি বুঝে নেবে। এটা হবে না। তিন মাসের মধ্যে ফল পাবেন।”
অভিষেকের কথার মূল নির্যাস হলো, যারা মানুষের সুখ দুঃখের সঙ্গে থাকে তারা ভোটে হরে না। যারা শুধু নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে তাদের জন্যই দল ভোট পায় না। আর শুদ্ধিকরনের জন্য তিনি তিন মাস সময় বেঁধে দিয়েছেন।
গভীর চিন্তায় কোলকাতার অনেক জনপ্রতিনিধি। পরিসংখ্যন বলছে বিগত লোকসভা নির্বাচনের ভিত্তিতে কলকাতায় প্রায় ৪৮টি আসনে তৃণমূল পিছিয়ে বিজেপির তুলনায়। জোড়াসাঁকো এবং শ্যামপুকুর বিধানসভাতেও পিছিয়ে। ওয়ার্ডে পিছিয়ে পড়ে অস্বস্তি তো ছিলই, কিন্তু দলের সেকেন্ড হাই কমান্ডের হুঁশিয়ারির পর কীভাবে পরিস্থিতি সামলানো যায় সেটাই এখন তাঁদের পাখির চোখ।
আদৌ কি আগামী পুরসভা নির্বাচনে বা বিধানসভা নির্বাচনে সেই সব ওয়ার্ডে পিছিয়ে থাকা বর্তমান জনপ্রতিনিধিরা টিকিট পাবেন না? চরম রাজনৈতিক জল্পনা। এই বিষয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন। দলীয় নেতৃত্ব সূত্রে খবর, নীচু তলায় কোথাও একটা পচন ধরেছে। যে কারণে শহরাঞ্চলে মানুষ শাসক দলের থেকে দূরে সরেছে। তাই এবার দলকে পরিষ্কার করতে চাইছেন মমতা ও অভিষেক।
নিজেদের ওয়ার্ডে বিজেপির থেকে পিছিয়ে পড়েছেন ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী। পিছিয়ে রয়েছেন ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর স্বরাজ মণ্ডল, ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসু, ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর দেবলীনা বিশ্বাস। এরা সকলেই তৃণমূলের বেশ বড়ো মাপের নেতা। তাদের ভাগ্যে এবার কি আছে? এই প্রশ্ন সোমবার সকাল থেকে ঘোরাঘুরি করছে সকলের মধ্যে।