নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বোলপুর :: সোমবার ৪,আগস্ট :: মাত্র ২২ বছর বয়স। যে বয়সে ব্যাটে-বলে ঝড় তুলে স্বপ্ন দেখা উচিত রঞ্জির মাঠে নামার। যে বয়সে জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ার কথা।সেই বয়সেই থেমে গেল বাংলার উদীয়মান ক্রিকেটার প্রিয়জিৎ ঘোষ-এর জীবন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর অকাল মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বাংলার ক্রীড়ামহল।
বীরভূম জেলার বোলপুরের বাসিন্দা প্রিয়জিৎ। এইদিন সকালে মিশন কমপাউন্ড এলাকার এক জিমে শরীরচর্চার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলেই প্রাথমিক চিকিৎসা রিপোর্টে জানা গেছে।
প্রিয়জিৎ ২০১৮-১৯ মরশুমে সিএবি (CAB) আয়োজিত আন্তঃজেলা অনূর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে নিজের প্রতিভা প্রমাণ করেছিলেন। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল তাঁর কৃতিত্বের জন্য তাঁকে পুরস্কৃত করেছিল। ঘরে এখনও সেই পদক গর্বের জায়গায় রাখা আছে।
কিন্তু সব স্বপ্নকে পেছনে ফেলে আচমকাই বিদায় নিলেন প্রিয়জিৎ। পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও ক্রিকেটের সতীর্থরা এখনও মানতে পারছেন না এই শোকবার্তা।
চিকিৎসকরা বলছেন, অস্বাভাবিক হলেও, কমবয়সীদের মধ্যে হৃদরোগজনিত মৃত্যু বাড়ছে। কোভিড পরবর্তী প্রভাব, অনিয়মিত জীবনযাপন এবং অতিরিক্ত স্ট্রেস— এসবই দায়ী।
২৫ বছর পেরোলেই রক্তচাপ, সুগার, কোলেস্টেরল এবং ওজন নিয়মিত পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আজ এই মৃত্যু শুধু একজন প্রতিভার শেষ নয়, বরং গোটা সমাজের কাছে সতর্কবার্তা।