৪৭ বছরের প্রথা মেনে ৫১ কুমারী’র পুজো কঙ্কালীতলায়

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বোলপুর :: ৫১ জন কুমারীকে পুজোর জন্য ভোর থেকে নাম লেখা শুরু হয়। এই কুমারী পুজোয় অংশগ্রহণ করতে পারে ৫ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত কুমারীরা।বেছে নেওয়া কুমারীদের প্রথমে কোপাই নদীতে স্নান করানো হয় এবং তারপর ঘট পুজো ও ওই কুমারীদের লাল পাড় সাদা শাড়ি পরিয়ে পঞ্চবটি বটবৃক্ষের তলায় আনা হয়।

এরপরেই শুরু হয় কুমারী পুজো। আবার এই ৫১ জন কুমারীর মধ্যে থেকে একজন কুমারীকে রাজকুমারী হিসাবে বেছে নেওয়া হয় ও বিশেষ পুজো করা হয়। বোলপুরে কঙ্কালীতলায় ত্রয়োদশীর দিন ৫১ কুমারীকে পুজো করা হয়। পুরাণ অনুযায়ী, সতী রূপে দেবীর একান্নটি খণ্ড হয়েছিল। সেই একান্ন খণ্ডের উদ্দেশ‍্যেই একান্ন কুমারীকে পুজো করা হয় এদিন।

বোলপুর সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রাম ছাড়াও শহর থেকে আসে কুমারীরা।  মন্দির চত্বরে সবাইকে একসঙ্গে বসিয়ে চলে হোমযজ্ঞ, পুজাপাঠ। সবশেষে বিশেষ ভোগের আয়োজন। প্রতি ত্রয়োদশীর মত এবছরও একান্ন কুমারীর পুজো ঘিরে জমে ওঠে একান্ন পীঠের অন্যতম কঙ্কালীতলা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,এই পুজো শুরু হয় ৪৭ বছর আগে। কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কাপাসটিকুড়ি গ্রামের মন্দিরের পুরোহিত প্রয়াত বুদ্ধদেব চট্টোপাধ্যায় (লাল বাবা) কঙ্কালীমায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে ত্রয়োদশীর দিন এই কুমারী পুজোর সূচনা করেছিলেন। এখন তাঁর পুত্র কাঞ্চিসর চট্টোপাধ্যায় আজ ও ৫১ কুমারীর পূজো করে আসছেন। সেই থেকেই দুর্গাপুজোর পরের ত্রয়োদশীর দিনে এই পুজো আজও হয়ে আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − 9 =