নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: মঙ্গলবার ২৯,অক্টোবর :: ক্রেতা সুরক্ষা আদালত যে এখনও সক্রিয় তার একাধিক প্রমাণ ইদানিং সামনে এসেছে। এবার আসলো আরও এক প্রমাণ। ক্রেতাকে কোনোভাবেই ঠকানো যাবে না – এটাই ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের মূল কথা। অভিযোগ অনুসারে ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ের কাছাকাছি পোজীচলুর পোস্ট অফিস থেকে একটি রেজিস্টার্ড চিঠি পাঠান যার খরচ পড়ে ৩০ টাকা।
কিন্তু সেই চিঠির রশিদে লেখা ছিল এই চিঠি পাঠানোর খরচ পড়েছে ২৯.৫০ টাকা। যদিও সেই ব্যক্তি ইউপিআইয়ের মাধ্যমে হুবহু সেই পরিমাণ টাকাই পাঠাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেই পোস্ট অফিসের কিছু কর্মীর কথায় প্রযুক্তিগত কারণে এই প্রস্তাব মানা হয়নি। ওই ব্যক্তির নাম এ মানস।
ওই ব্যক্তি দ্রুত কনজিউমার ফোরামের অভিযোগ জানান।৫০ পয়সা না দেওয়ার দায়ে ১৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হয় পোস্ট অফিসকে । কনজিউমার ডিসপুটস রিড্রেসাল কমিটির পক্ষ থেকে পোস্ট অফিসের কাছে এই নির্দেশ আসে যে সেই ব্যক্তিকে তৎক্ষণাৎ ৫০ পয়সা ফেরত দিতে হবে এবং অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা দিতে হবে ক্ষতিপূরণ।
এখানেই শেষ নয়, সেই ব্যক্তির হয়রানি, মানসিক অশান্তি এবং অনৈতিক বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়। এমনকী চেন্নাইয়ের কাঞ্চীপুরমের ডিস্ট্রিক্ট কনজিউমার ডিসপুটস রিড্রেসাল কমিশন ডাকবিভাগকে মামলার খরচ হিসেবে আরও ৫ হাজার টাকা দেবার নির্দেশ দিয়েছে।