৬১ দিন গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল মৎস্য দপ্তর

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: ডায়মন্ডহারবার :: ১৯ শে,এপ্রিল :: সামুদ্রিক মাছ এদের প্রজননের কথা মাথায় রেখে আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে টানা ৬১ দিন গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাজ্যের মৎস্য দপ্তর। ছোট বড় সকল মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যার ফলে সমুদ্রে মাছ ধরার উপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ৬১ দিন এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। এই সময়কালের মধ্যে মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারবেন না। সমুদ্রতট থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মাছ ধরার উপর সমস্ত রকম নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে।মূলত মাছের প্রজনন এবং উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে এই নিষেধাজ্ঞ বলে জানা গিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মাছেরা নিশ্চিন্তে সমুদ্রে বিচরণ করতে পারে।

নিষেধাজ্ঞা যাতে অমান্য করে কেউ যাতে সমুদ্রে না যায় সে দিকটি লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। এমন হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতী পাত্র তিনি বলেন, প্রতিবছর মাছেদের প্রজননের জন্য ৬১ দিন গভীর সমুদ্রের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্য দপ্তর।

এই সময়কালে মৎস্যজীবীরা নিজেদের ট্রলার থেকে শুরু করেন নিজেদের জাল মেরামতির কাজ সেরে নেয়। ৬১ দিন পর মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে এরপর আবারও মাছ ধরতে যাবে মৎস্যজীবীরা। মূলত সমুদ্রে মাছদের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য মৎস্য দপ্তরের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেয়া হয় প্রতিবছর।

রবীন্দ্রনাথ দাস এক মৎস্যজীবী তিনি বলেন, গত বছর তেমন মাছ হয়নি এ বছর আশা করব যাতে ভালো মাছ হয়, না হলে সংসার চালানোর দায় হয়ে যাবে। মোট কাকদ্বীপ বন্দরে দু হাজারেরও বেশি মৎস্যজীবী ট্রলার রয়েছে প্রতিটি ট্রলার ১৭ থেকে ২০ জন করে মৎস্যজীবীরা থাকে। ৬১ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকলে রুজি রুটিতে টান পড়বে । এই সময় কালে নিজেদের সরঞ্জাম গুছিয়ে নেয়ার কাজ চালাচ্ছে মৎস্যজীবীরা। আবারো ৬১ দিন পর বাঙালির রসনার তৃপ্তিতে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে মৎস্যজিবি ট্রলার গুলি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + 4 =