৭০০ বছরের ঐতিহ্যে আজও পুজিতা হন মা মহামায়া,দেওয়া হয় মহিষ বলি খয়রাশোলের লাউবেড়িয়ায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: খয়রাশোল :: শনিবার ৩০,আগস্ট :: বীরভূম জেলার খয়রাশোল থানার লাউবেড়িয়া গ্রামের নন্দী বাড়িতে কয়েক শত বছর ধরে পুজিতা হয়ে আসছেন মা মহামায়া। প্রায় ৭০০ বছরেরও অধিক কাল ধরে শিলামূর্তিরূপে মাকে পূজা করা হচ্ছে।

যদিও এই মহাপুজোর সূচনা কবে হয়েছিল তা ইতিহাসের পাতায় অজানা,তবে নন্দী পরিবার সূত্রে জানা যায় প্রায় ১৮০ বছর আগে মহৎচরণ নন্দী ও চাকর নন্দী পুজোর ভার নেন। এরপর একে একে কেদার নন্দী, তিনকড়ি নন্দী ও কাশীনাথ নন্দী দেবীর সেবায় আত্মনিয়োগ করেন। বর্তমানে এই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন শুভেন্দু নন্দী, দিব্যেন্দু নন্দী, মনোজ নন্দী ও বাবলু নন্দী।

শাক্ত মতে পঞ্জিকা অনুযায়ী শ্রদ্ধা,ভক্তি সহকারে আচার বিধি মেনে সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত চলে মহামায়ার মহাপুজো। সপ্তমীতে ঢাক, ঢোল,কাঁসর,ঘন্টা,খোল, করতাল ও শঙ্খধ্বনির সাথে ভক্তরা দন্ডি কেটে মায়ের বারি আনয়ন করেন।

নন্দী পরিবারের পুরুষেরা ও গ্রামের পুরুষেরাএই বারি আনয়নে অংশ নেন। সেই দিন থেকেই দুটি গাওয়া ঘি এর প্রদীপ জ্বলে,যা দশমী পর্যন্ত অবিরত প্রজ্বলিত থাকে— যেন মায়ের অক্ষয় জ্যোতির প্রতীক।মাকে সোনার-রুপোর অলংকারে সুসজ্জিত করা হয়। সপ্তমীতে কুমড়ো বলি, অষ্টমীতে দুটি মহিষ, সাতটি ছাগ, আখ ও কুমড়ো বলি হয়। নবমীতে মানতের ভিত্তিতে মহিষ বলি, সঙ্গে ৩০টি ছাগ বলি দেওয়া হয়।

প্রতিদিনই মাকে নিবেদন করা হয় চিঁড়া,ফল,মিষ্টি,লুচি ও নানা ভোগ্যসামগ্রী। দশমীর দিনে মায়ের ঘট বিসর্জন ও সিঁদুর খেলা,যা ভক্তিময় পরিবেশকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven + 15 =