৭ গাড়ি ফেন্সিডিলের মধ্যে এক গাড়ী পুলিশের জালে, বাইজালবাড়ি থানার হাতে ৩৬ লক্ষ টাকার এসকফসহ ধৃত এক, আরও ২ গাড়ী খোয়াইতে প্রবেশের অনুমান

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: ত্রিপুরা :: রবিবার ২,নভেম্বর :: নেশা বিরোধী অভিযানে ফের বড় সাফল্য অর্জন করেছে বাইজলবাড়ি থানা। গতকাল জোড়া সাফল্যের পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আবারও বিপুল পরিমাণ এসকফসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

থানা সূত্রে জানা গেছে, বাইজলবাড়ি নাকা পয়েন্টে নিয়মিত তল্লাশির সময় সন্দেহজনক একটি বোলেরো পিকআপ গাড়ি (নম্বর TR01AX1543) থামানো হয়। তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ৪,৪০০ বোতলেরও বেশি এসকফ, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৩৬ লক্ষ টাকা।ঘটনাস্থলেই গাড়িচালক সঞ্জীব দেববর্মাকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান, তেলিয়ামুড়া থেকে খোয়াই হয়ে আগরতলার দিকে পাচারের উদ্দেশ্যে এই বিপুল পরিমাণ এসকফ পরিবহন করা হচ্ছিল।

বাইজলবাড়ি থানার ওসি যুগল ত্রিপুরা জানান, নেশাজাতীয় দ্রব্যের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং এই চক্রের মূল পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করতে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।

তবে, এই ঘটনার পর এলাকাজুড়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিছুদিন আগেই এক প্রভাতী দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে তেলিয়ামুড়ায় এক কোটি টাকারও বেশি ফেনসিডিল মজুত রয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের অভিমত,

৭টি গাড়িতে ফেনসিডিল খোয়াই হয়ে আগরতলায় যাচ্ছিল — তার মধ্যে মাত্র একটি গাড়ি ধরা পড়ল, আর বাকিগুলো যেখানে যাওয়ার ছিল সেখানেই পৌঁছে গেল।

এছাড়া আরও ২ গাড়ী খোয়াই ঢুকেছে বলে সূত্রের খবর। অনেকের মতে, “এ যেন পূর্বপরিকল্পিত নাটকেরই পুনরাবৃত্তি।” যদিও পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, গোটা ঘটনাটির পূর্ণ তদন্ত চলছে এবং নেশা বিরোধী এই অভিযান কোনোভাবেই নাটক নয়, বরং বৃহত্তর ড্রাগ চক্রকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই এটি পরিচালিত হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − nine =