নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: বৃহস্পতিবার ২৪,এপ্রিল :: দীর্ঘ ১২ বছর পর বিচার পেল এক নাবালিকা। ২০১৩ সালের সরস্বতী পুজোর সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ধর্ষণের ঘটনার অবশেষে রায় দিল বর্ধমান জেলা আদালত। ঘোষণা হওয়া রায় অনুযায়ী, অভিযুক্তকে ২০ বছরের জেল এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও ৬ মাসের জেলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ঘটনাটি ঘটেছিল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার অন্তর্গত মুদপুর গ্রামে।এই কেসের সরকারি আইনজীবী শ্যামল কুমার গাঙ্গুলী জানিয়েছেন,১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩— সরস্বতী পুজোর দিন সন্ধ্যাবেলায় বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল গ্রামের এক নাবালিকা। কিন্তু একসময় সে একা পড়ে গেলে, সেই সুযোগে গ্রামেরই এক ব্যক্তি তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর মাঠের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
ঘটনার পর অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে নাবালিকা তার মা-বাবাকে সব জানায়। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় বাতাস স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, যেখানে টানা ১৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিল ওই নাবালিকা।
পরে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং একইদিনে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তভার পান আইও সাধন কুমার পাত্র। তিনি পকসো আইনের অধীনে মামলা রুজু করেন এবং পুরো ঘটনার যথাযথ তদন্ত করেন। মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষ্য দেন, যাঁদের মধ্যে চিকিৎসকরাও ছিলেন। এছাড়া আদালতে গোপন জবানবন্দিও প্রদান করেন নির্যাতিতা।