সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: গঙ্গাসাগর :: রাজ্যে ওমিক্রনের চোখ রাঙানির উদ্বিগ্ন প্রশাসন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা গঙ্গাসাগর প্রশাসনিক বৈঠকের তা পরিস্কার বোঝা গেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়। মঙ্গলবার গঙ্গাসাগর মন্দিরে পুজো দিয়ে গঙ্গাসাগর সফর শুরু করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ।
বুধবার দুপুরে গঙ্গাসাগর মেলা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রশাসনিক বৈঠক এ উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের ও এলাকার জনপ্রতিনিধিরা।
গঙ্গাসাগর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৮৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৯ টি প্রকল্প উদ্বোধনের শিলান্যাস করেন পাশাপাশি ২৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৮ টি জনকল্যাণ প্রকল্পের ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি ৫ দিন ধরে কুলতলির মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে ছিল যে দক্ষিণরায় সেই দক্ষিণরায় অবশেষে ধরা পড়েছে।
বুধবার সকালে বাঘটির শারীরিক পরীক্ষা করার পর জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছে বনদপ্তর। কুলতলির বাঘকে খাঁচা বন্দি করার বিষয়ে বনদপ্তর ও পুলিশের ভূমিকায় প্রশংসায় পঞ্চমুখ মুখ্যমন্ত্রী।
এরপরই মমতা বলেন,করোনার তৃতীয় ঢেউ এসে গিয়েছে। যদি স্কুলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে সেক্ষেত্রে ফের বন্ধ করা হতে পারে স্কুল। একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে কলেজ-সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়েও। এদিন বৈঠকে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের কাছে কলকাতার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলাদা ভাবে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই পরিস্থিতি বিবেচনা করে কনটেনমেন্ট জোন করার পরামর্শ দেন।
তবে বছরের শেষ ও নতুন বছরের শুরুতে রাজ্যবাসীর বিভিন্ন প্ল্যান থাকে। সেই কারণে ৩ জানুয়ারি থেকে কনটেনমেন্ট জোন করার কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি প্রয়োজনে ফের অফিস-কাছারির ক্ষেত্রে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে জোর দেওয়ার কথাও বলেন। প্রয়োজনে লোকাল ট্রেন নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে গঙ্গাসাগর মেলার আগে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওমিক্রন। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডেল্টার থেকে ৩ গুণ বেশি সংক্রমণ ক্ষমতা ধরে করোনার এই অবতার। এখনও পর্যন্ত ১০৯টি দেশে ছড়িয়েছে এই স্ট্রেন। এই মুহূর্তে ভারতে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮১। যার ফলে রাজ্যগুলির জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রক।