উদয় ঘোষ :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: রাজ্যের ১০৮ পৌর সভার মধ্যে দার্জিলিং ছাড়া বাকি পৌর সভায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয় নিয়ম মেনেই। সাংবাদিক বৈঠকের কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই তালিকা আপলোড করা হয় তৃণমূলের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে। জেলায় জেলায় ছড়িয়ে পড়ে সেই তালিকা।
২১৬ পাতার সেই তালিকায় ছিল প্রার্থীদের নাম। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে আচমকা দাবি করা হয়, ওই তালিকা আসল নয়। ওই তালিকায় কারও স্বাক্ষর নেই। পরে রাজ্য সভাপতির স্বাক্ষরিত প্রার্থী তালিকা প্রতিটি জেলায় দলের দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে পাঠানো হয়।
এরপর বর্ধমানের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পছন্দের প্রার্থীর দাবিতে বিক্ষোভ, রাস্তা অবরোধ, অগ্নিসংযোগ, ঘেরাও অভিযান শুরু করে দেয় তৃণমূলেরই কর্মী, সমর্থকদের একাংশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাস্তায় নামে বিশাল পুলিশ বাহিনী। শনিবার দুপুর পর্যন্ত বর্ধমান পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বর্ধমানের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এই বিক্ষোভ শুরু হয়।
পরে ২, ৫, ১১, ২১,২৮, ৩০ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিক্ষোভের আঁচ টের পাওয়া যায়। শনিবার সকাল থেকে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্টেশন সংলগ্ন মেহেদীবাগান এলাকা বিক্ষোভের জেরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। দলের অনুমোদিত প্রার্থীর গোষ্ঠীর সঙ্গে দলেরই অন্য গোষ্ঠী সম্মুখ সমরে নেমে পড়ে।
পরিস্থিতি হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছোয়। বর্ধমান থানার আই সি’র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে দু’পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিবাদমান এক পক্ষের অভিযোগ, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী চায়না কুমারী ২০২১ বিধানসভা ভোটে বিজেপির সমর্থক ও ভোট প্রচারে তৃণমূল প্রার্থীর উপর হামলায় জড়িত ছিল। তাঁকে কোন ভাবে মেনে নেওয়া যাবে না। মেহেদীবাগান এলাকায় সেই নিয়েই চলে বিক্ষোভ। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল নেতার দাবী, আমাদের প্রার্থী নিয়ে কোন ক্ষোভ নেই।
আমরা চায়না কুমারীর সমর্থনে প্রচার শুরু করে দিয়েছি। তিনি অভিযোগ তুলে বলেন, জেলার এক শ্রমিক নেতার ইসারায় কিছু বহিরাগত লোকজন এসে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ঝামেলা তৈরী করছে, এই বিষয়ে দলের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কে জানানো হয়েছে।