সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ ::বারুইপুর :: প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিনের পর দিন ধ্বংস করা হচ্ছে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ। ম্যানগ্রোভ কেটে বিঘার পর বিঘা তৈরি করা হচ্ছে মাছের ভেড়ি। যেকোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় সুন্দরবনকে রক্ষা করতে সব সময় ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে ম্যানগ্রোভ বন সেই ম্যানগ্রোভ বন এখন ধ্বংসের পথে। নামখানার লালপুল এলাকার সুন্দরিকা-দোয়ানিয়া খালের দু’পাশে নির্বিচারে ম্যানগ্রোভ নিধন চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই।
রাতে মেশিন দিয়ে গাছ কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকার মানুষের। স্থানীয়দের দাবি, প্রভাবশালীদের মদতেই এ ভাবে ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করে মেছো ভেড়ি তৈরির কাজ চলছে। নজর নেই প্রশাসনের। নামখানার চন্দ্রনগর, চন্দনপিড়ি, হরিপুর এলাকাতেও একইভাবে ম্যানগ্রোভ কেটে বেআইনি মেছোভেড়ি তৈরি কাজ চলছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ম্যানগ্রোভ রোপণে গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর নির্দেশে আমপান-ইয়াস পরবর্তী সময়ে সুন্দরবন জুড়ে কয়েক কোটি নতুন ম্যানগ্রোভের চারা রোপণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দিয়ে ম্যানগ্রোভের চারা তৈরি ও রোপণের কাজ চলছে নিয়মিত। তবে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কিভাবে চলছে ম্যানগ্রোভ নিধন কাজ। সাধারণ মানুষের দাবি, যে দিনের পর দিন কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা নির্বিচারে ম্যানগ্রোভ কেটে তৈরি করছে মাছের ভেড়ি।
প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সাধারণ মানুষেরা। সাধারণ মানুষের দাবি অবিলম্বে নির্মমভাবে ম্যানগ্রোভ নিধন যোগ্য বন্ধ করতে হবে এবং সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে।
এই বিষয়ে নামখানা ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক শান্তনু ঠাকুর বলেন, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে ১২.৫১ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানো হয়েছে। বন দফতরের সহযোগিতায় ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দিয়ে এই কাজ হয়েছে। যে সকল অসাধু ব্যক্তিরা সুন্দরবনকে ধ্বংসের মেতে উঠেছে, তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দেয়া হবে। ম্যানগ্রোভ বাঁচলে বাঁচবে সুন্দরবন।