কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ :: নয়াদিল্লি :: দেড় বছর ধরে কৃষক আন্দোলন উত্তরপ্রদেশে যে ঝড় বইয়েছে, তার খেসারত এবার বিজেপিকে কতটা দিতে হবে এখনো সেই অনুমান স্পষ্ট নয়। বিজেপি নেতারা তাই বলতে ভালোবাসছেন, প্রথম তিন পর্বের লোকসান যতটুকু হবে, তা পরের চার পর্বে পুষিয়ে দেওয়ার মতো ক্ষমতা তাঁদের আছে। দাবি ও বাস্তবের ফারাক কতটা, আজকের ভোট তা বুঝিয়ে দেবে।
পরিস্থিতি কিন্তু রাজ্যের শাসক দলের মোটেই অনুকূলে নয়। কেননা এই ৯টি জেলার মধ্যেই রয়েছে নেপাল ঘেঁষা লখিমপুর খেরি। গত অক্টোবরে শান্তিপূর্ণ মিছিলে গাড়িবহর চালিয়ে যেখানে চারজন কৃষককে মেরে ফেলা হয়েছিল। সেই ঘটনার দায় কৃষকেরা চাপিয়েছিলেন জেলার ব্রাহ্মণ নেতা মোদি মন্ত্রিসভার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিস মিশ্রের ওপর। সুপ্রিম কোর্টের চাপে হত্যার দায়ে শেষ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ছেলে আশিসকে। ভোটের আগে যিনি আপাতত জামিনে মুক্ত।এই লখিমপুর খেরির মোট আটটি বিধানসভা আসনের সব কয়টি গতবার বিজেপি জিতেছিল। অথচ এই জেলায় তো বটেই, আশপাশের জেলা পিলিভিট, সীতাপুর বা উন্নাওয়ের বেশ কিছু কেন্দ্রে কৃষক বিক্ষোভের দরুন বিজেপি প্রার্থীরা এবার সেভাবে প্রচারেই নামতে পারেননি।
উন্নাওয়ের ধর্ষণ ও হত্যা মামলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যোগী-সরকারের যোগ্যতা নিয়ে যেমন প্রশ্ন তুলেছে, তেমন ক্ষুব্ধ রেখেছে এই জেলাগুলোতে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা দলিত সমাজকে।
এবারের ভোটে বহুজন নেত্রী মায়াবতীর নিষ্ক্রিয়তা বিভ্রান্তিতে ভোগা দলিতদের কোন দিকে টানবে, এই পর্ব থেকে সেই আগ্রহ বাড়বে। কৃষক, দলিত ও অন্য অনগ্রসরদের ভোটে ভাগ বসানোর পাশাপাশি অখিলেশ-জয়ন্তের জোট আজকের পর্বে জাট, যাদব ও মুসলমানদের সিংহভাগ সমর্থন আদায় করতে পারলে মুখ্যমন্ত্রী যোগী তো বটেই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও চিন্তায় ফেলবে। বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি, রাজ্য ও কেন্দ্রের প্রশাসনিক আনুকূল্য ও অর্থবলেরও পরীক্ষা এই পর্ব থেকে শুরু হলো।