হরিশ্চন্দ্রপুর সীমান্তবর্তী অঞ্চল কুমেদপুর এলাকায় মদ খেতে এসে দুষ্কৃতীরা চালালো গুলি। মদের ঠেকের মধ্যেই চলল গুলি।

কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদা :: বিহার থেকে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর সীমান্তবর্তী অঞ্চল কুমেদপুর এলাকায় মদ খেতে এসে দুষ্কৃতীরা চালালো গুলি। মদের ঠেকের মধ্যেই চলল গুলি। গুলিবিদ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে। তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে গভীর রাতে মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর থানা এলাকার বাংলা বিহার-সীমান্তবর্তী কুমেদপুরের দরিয়াপুর এলাকায়।

বিহার রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ। সেখান থেকে ৫ জন মদ খাওয়ার উদ্দেশ্যে বিহার সীমান্তবর্তী কুমেদপুররে দরিয়াপুরে আসে। সেখানেই একটি মদের ঠেকে বচসা বেধে যায় স্থানীয় এক বাসিন্দার সাথে। বচসার জেরে দুষ্কৃতীরা চালায় গুলি। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় গুলিবিদ্ধ হয় স্থানীয় বাসিন্দা বর্মা হাঁসদা(৩৬)।

বাড়ি কুমেদপুর দরিয়াপুর এলাকায়। পিঠে গুলি লাগার পরে লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। তড়িঘড়ি ওই ব্যক্তিকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে আসা হলে পরে ওই ব্যক্তির আশঙ্কাজনক অবস্থায় এই মুহূর্তে মালদা মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ জন পালানোরব চেষ্টা করে। তাদের মধ্যে ২ জনকে গ্রেপ্তার করে হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ। যদিও ৩ জন পলাতক। ধৃতরা বিহারের বাসিন্দা, সন্তোষ শর্মা (৪৩), বিকাশ কুমার রজক(৩২)। বাড়ি বিহারের কাটিহার জেলার আজম নগর থানার পলসা এলাকায়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

কি কারনে গুলি চালানো হল এর পেছনে পুরনো কোনো শত্রুতা রয়েছে কি না সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার এ-এস-আই রাজীব পাল বলেন, যিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সেই এলাকা থেকে ফোন আসে। ফোন পেয়ে সাথে সাথে আমরা ঘটনাস্থলে যাই । সমগ্র ঘটনার তদন্ত চলছে। কেনো বা কি কারনে এই ঘটনা ঘটেছে আমদের কাছে তা স্পষ্ট নয়। গুলিবিদ্ধ বর্মা হাসদা বলেন, যারা গুলি চালিয়েছে তাদেরকে চিনি। বিহার থেকে এসেছিল তারা। কিন্তু আমার সাথে কোন শত্রুতা ছিল না। তারা কেন গুলি চালাল আমি জানি না।

বিহার সীমান্তবর্তী হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ কর্মের ক্ষেত্রে বারবার বিহার যোগ পাওয়া যায়। বিহার রাজ্যে এই মুহূর্তে মদ নিষিদ্ধ। তাই বিভিন্ন সময় দেখা যায় হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা থেকে ওই রাজ্যে বেআইনি ভাবে মদ চালানো হচ্ছে বা বিহার রাজ্য থেকে বহু মানুষ মদের জন্য হরিশ্চন্দ্রপুরে আসে।

এই ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কী কারণে বচসা ? কেনই বা চালানো হলো গুলি ? তা এখনো স্পষ্ট নয়। সমগ্র ঘটনার তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। গুলি চালানোর ঘটনায় টানটান উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen + sixteen =