সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: বারুইপুর :: সুন্দরবন,জঙ্গলমহল,উত্তরবঙ্গের চাবাগান,মুর্শিদাবাদের রাজ মিস্ত্রি পরিবার,ইটভাটা সহ রাজ্যের বিভিন্ন পিছিয়ে পড়া এলাকার বহু পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছেলেমেয়েরা কোভিড মহামারিতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে নির্মাণ, কলকারখানায় বা দোকানের কাজে যুক্ত হয়েছিল।
বহু ছাত্রছাত্রীর এন্ড্রয়েড ফোন না থাকায় স্কুলের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেনি! সময়মতো অ্যাডমিট কার্ড পাওয়ার জন্য এনরোলমেন্ট ফর্মে সই করতে পারেনি। ফলে আসেনি তাদের মাধ্যমিক অ্যাডমিট কার্ড ! আজ যখন তারা পরীক্ষা দিতে চাইছে, টাকা জমা দিয়ে এডমিট কার্ড চাইছে তখন তাদের দূর-ছাই করে ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষা প্রশাসনের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান মধ্য শিক্ষা পর্ষদ থেকে!অনলাইন নয়, অফ লাইনে প মাধ্যমিক দিতে চাওয়া পরীক্ষার্থীদের শিক্ষাক্ষেত্রে এ কোন সংবেদনশীলতার শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে ? পুলিশ, সিভিক,দ্বার রক্ষীদের দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের তাড়িয়ে দিচ্ছে সল্টলেক করুনাময়ী ডিরোজিও ভবনের বাইরের গেটে, যার ঠিক ১০ মিটার দূরে চলছে কলকাতা বইমেলা! এর চাইতে বড় প্যারাডক্স আর কী-ই হতে পারে !
বহু বিদ্যালয়ের প্রধানগণের আবেদন,নিবেদন,ছাত্র ছাত্রীদের আবেদন নিয়ে দরজায়- দরজায় সারাদিন ঘোরা বিফলে যাচ্ছে।গত প্রায় এক মাস ধরে এমন অচলাবস্থা চলছে।কোন সুরাহা মিলছে না। জরুরী ভিত্তিতে আবেদনকারীদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার ব্যবস্থা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কে নিতে হবে। না হলে ড্রপ আউট এর সংখ্যা বাড়বে এবং বহু ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা বাইরে চলে যাবে। আশাকরি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আবেদনকারীদের অনুরোধ বিবেচনা করে দেখবে।