সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: বারুইপুর :: পশ্চিম মেদিনীপুর ফিউচার কেয়ার সোসাইটি নামে একটি বেসরকারি সংস্থা অষ্টম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ” ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্কলারশিপ ” নামে একটি বিশেষ বৃত্তি প্রদানের কথা তাদের ওয়েবসাইটে ঘোষণা করে।
সেখানে বলা হয়, ২০২২ শিক্ষাবর্ষে মেধার ভিত্তিতে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা বৃত্তি পাবে ১,২০০ টাকা, নবম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা পাবে ২,৪০০ টাকা, দশম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা পাবে ৩,৬০০ টাকা, একাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা পাবে ৪,৮০০ টাকা এবং দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা পাবে ৬০০০ টাকা ।www.makaut mentor.in নামে সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইটে আরো জানানো হয় যে “ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্কলারশিপ ” নামে তাদের ওই বিশেষ বৃত্তি গ্রহণ করতে ইচ্ছুক ছাত্র ছাত্রীদের একত্রিশে জানুয়ারি ২০২২ এর মধ্যে নির্দিষ্ট ঠিকানায় অবশ্যই আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
সেখানে আরো জানানো হয় যে, কোন অবস্থাতেই একত্রিশে জানুয়ারি ২০২২ এর পর ওই আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে না।
বিজ্ঞাপন
কিন্তু কেউ বা কারা কোন অসৎ উদ্দেশ্যে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে রটিয়ে দেয় যে এই বৃত্তি গ্রহণের জন্য আবেদনপত্রের কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই, তবে আবেদনপত্র আগে জমা দিলে আগেই সুযোগ হবে। এই গুজব হাওয়ার বেগে রটতে থাকে।
বিজ্ঞাপন
ছাত্র-ছাত্রীরা ওই সংস্থার ওয়েবসাইট যাচাই না করে গুজবে কান দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা আবেদনপত্র জমা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পোস্ট অফিসের সামনে লাইন দিতে থাকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন পোস্ট অফিসের পাশাপাশি জয়নগর থানার অন্তর্গত সমস্ত পোস্ট অফিসের সামনে তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। বিভ্রান্ত হতে থাকে ছাত্রছাত্রীরা।
বিষয়টি জানার পর জয়নগর থানার আইসি অতনু সাঁতরা ওইসব ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে একটি সচেতন মূলক মাইক প্রচার এর ব্যবস্থা করেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের গুজবে কান না দিয়ে সংস্থার ওয়েবসাইট যাচাই করার নির্দেশ দেন।