মালদায় সোমবার সকাল থেকেই বনধ সফল করতে রাজ্য-জুড়ে রাস্তায় নেমে পড়েছে বাম কর্মী সমর্থকরা

কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক নীতির প্রতিবাদে ২৮ এবং ২৯ মার্চ দেশ জুড়ে বনধ ডাকা হয়েছে বামেদের পক্ষ থেকে। সেই উপলক্ষে সোমবার সকাল থেকেই বনধ সফল করতে রাজ্য-জুড়ে রাস্তায় নেমে পড়েছে বাম কর্মী সমর্থকরা।

মিশ্র প্রভাব দেখা যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। সে রকমই এদিন বনধ সফল করতে সকাল থেকেই মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর এলাকায় রাস্তায় নামে বাম কর্মী সমর্থকরা।

বনধের সমর্থনে তারা মিছিল করে। বনধ সফল করতে দোকানপাট থেকে শুরু করে, ব্যাংকের দরজার গেটে পর্যন্ত সিপিআইএমের পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর শহীদ মোড়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা বেধে যায় বাম কর্মী সমর্থকদের। এমন কী শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি।

বামেদের অভিযোগ পুলিশ জোর করে, অগণতান্ত্রিকক উপায়ে তাদের বনধ ব্যর্থ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। যদিও তৃণমূলের পাল্টা দাবি প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করছে। সাধারণ মানুষের কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবেই। এই ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির সদস্য জামিল ফিরদৌস বলেন, রাজ্য সরকারের অপশাসন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক নীতির বিরুদ্ধে এই বনধ ছিল। কিন্তু বনধ আটকাতে পুলিশ পুরো তৃণমূলের মত কাজ করলো।

এরা সম্পূর্ণ দল দাসে পরিণত হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুরে এই ধরনের ঘটনা কখনও দেখা যায়নি। আমরা কাউকে জোর করিনি,মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বনধের সাড়া দিয়েছে।

জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান বলেন, বামেদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। জনগণ ওদের বনধ প্রত্যাখ্যান করেছেন। দোকানপাট খোলা গাড়ি ঘোড়া সচল রয়েছে। ওরা জোর করে কাউকে আটকালে পুলিশ তো ব্যবস্থা ব্যবস্থা নেবেই।

হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান রাজ্যের তরফের নির্দেশ রয়েছে রাস্তাঘাট দোকানপাট জোরপূর্বক ভাবে বন্ধ করানো যাবে না, তাই সেখানে পুলিশ বাধা দিয়েছে যদিও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − six =